Business Success : কে না চায় ? 2024-এ Success পাবেনই।

Table of Contents

বিজনেসে সাকসেস পাবার একুশকাহন

বর্তমান সময়ে আমরা নানা রকম সমস্যাতে জর্জরিত । একটা সমস্যা মিটতে না মিটতেই আরেকটি সমস্যা ঘাড়ে এসে পড়ছে। এই হাজার রকম সমস্যার মধ্যে যে সমস্যাটি সমাজের ভিত একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছে সেটি হল উপার্জন বা Income. সেজন্য ইনকামের নতুন পথ খুঁজে পেতে business success আমাদের পেতেই হবে। ইনকামের দুই ধরনের রাস্তা সাধারণত আমরা দেখতে পাই,বা Income-এর দুটি প্রধান মাধ্যম আমরা সকলেই জানি,

  • ১. Service ( সরকারি ও বেসরকারি )
  • ২. Business ( Small and Big )

বেশিরভাগ মানুষের প্রথম লক্ষ্য হলো Service .

কেন ?

এর স্বপক্ষে হাজারটা কারণ এক নিমেষে বলে দেওয়া যায় । কিন্তু সমস্যা হল, বর্তমানে চাকরি কোথায় ?বেসরকারি চাকরি যদিও জোটানো যায়, তাতে হাজারটা ঝক্কি ও ঝামেলা ।সরকারি চাকরির কথা ,যত কম বলা যায় ততই মঙ্গল! পড়ে থাকলো Business বা ব্যবসা ।

তবে একটা কথা সকলেই স্বীকার করবে, সেটা হলো –টাকা বা আইডিয়া থাকলে ,যে কোন ব্যবসা শুরু করা যেতেই পারে। কিন্তু সফলতা কি সকলে পায় ? না পাওয়া সম্ভব ?

একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে — প্রতিবছর যতগুলি নতুন ব্যবসা শুরু হয়, এক বছর বা দুই বছর যেতে না যেতেই ৯৫% ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। এর পিছনেও হাজারটা কারণ আছে। কেন এই বিজনেস গুলি বন্ধ হয়ে যায় ,সেটা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন, আর পেয়ে যান Business success-এর চাবিকাঠি।

বিফলতার কারণ বিশ্লেষণ করা আমার Artical-এর উদ্দেশ্য নয় ।

Business Success আমাদের উদ্দেশ্য, বিফলতার গল্প আমরা শুনবো না।
Business Success আমাদের উদ্দেশ্য, বিফলতার গল্প আমরা শুনবো না।

আমাদের উদ্দেশ্য হলো ,যদি আমরা Business success চাই ,তাহলে আমাদের কি করতে হবে ?

Business success পাওয়ার ক্ষেত্রে, কোন মন্ত্র বা ম্যাজিক কাজ করে না । Business-এ সাফল্য পাওয়া একটি দীর্ঘ পথ পরিক্রমা। যেখানে থাকতে হবে সাফল্য পাবার জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা। টিঁকে থেকে, দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করার মানসিকতা। Creative নিয়ম-কানুন Implement ও দৃঢ় সংকল্প। জীবনের সাফল্য বা Business success পাওয়ার বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে বহু মানুষ ,বাধ্য হয়ে ব্যবসাতে যোগ দেবার কারণে ,প্রতিযোগিতা বহুগুণ বেড়ে গেছে ।ফলে সফল বিজনেস গড়ে তোলা ও সেটা টিকিয়ে রেখে লাভের মুখ দেখা খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের বেশ কিছু নিয়ম কানুন ও কৌশল প্রয়োগ করার প্রয়োজন। যা আমাদের ব্যবসায় Bass ও Structure কে বহুগুণ শক্তিশালী করবে ও অন্যদের থেকে আমাদের এগিয়ে রাখবে।এই এগিয়ে থাকাটাকে বজায় রাখতে হলে, চাই সঠিক পরিকল্পনা ও কঠোর পরিশ্রম । এছাড়াও আমাদের বুঝতে হবে বাজারের চাহিদা, গ্রাহকের প্রত্যাশা এবং সমজাতীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতার স্ট্র্যাটেজি।

Business গড়ে তোলা ও Business Success ধরে রাখার জন্য আমাদের বেশ কিছু Tips and Tricks-কে প্রয়োগ করা জানতে হবে ও বুঝতে হবে।

  • ১.কি করবো ও কি করবো না !
  • ২.কিভাবে শুরু করবো ?
  • ৩.টার্গেট ফিক্সড করে এগোতে হবে !
  • ৪.নেটওয়ার্কের বিকল্প কিছু হয় না ।
  • ৫.বড় নয় ,সাফল্যের জন্য স্থির করুন ছোট ছোট লক্ষ্য ।
  • ৬.ছোট সাফল্য মোটেও ছোট নয় !!
  • ৭.লিখুন, লিখে ফেলুন। দেখুন ম্যাজিক!
  • ৮.মানুষের কোন্ কোন্ সমস্যার সমাধান করবে ?
  • ৯.কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ।
  • ১০.কাস্টমারদেরকে ভালবাসুন,সম্মান করুন ,উপহার দিন।
  • ১১.Business Mind
  • ২.সফলতার প্রথম সিঁড়ি : ভালোবাসা
  • ১৩.নিজেকে সবসময় আপডেট রাখুন
  • ১৪.রাতারাতি মুনাফা অর্জনের পিছনে ছুটবেন না
  • ১৫.সেলস্ ও মার্কেটিং : দুটি প্রধান স্তম্ভ
  • ১৬.মার্কেটিং পরিকল্পনায় গুরুত্ব দিতে হবে
  • ১৭.সব টাকা একসাথে বিনিয়োগ কখনোই করবেন না !
  • ১৮.নিজের ক্ষমতা থাকলে একাই ব্যবসা করুন
  • ১৯.ঝুঁকি নেওয়ার আগে গভীরতা নির্ণয় করতে হবে
  • ২০.লোন করা কি খুবই জরুরী ? আরো একবার ভেবে দেখুন !
  • ২১.ভালো বই ও ভালো মানুষদের কে বন্ধু বানান

১.কি করবো ও কি করবো না !

মানুষের ক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। মানুষ চাইলেও সমস্ত কাজ করতে পারে না। সেজন্য সবরকম কাজে পা বাড়ানোও উচিত নয়। নিজের ক্ষমতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী উদ্যোগ নেওয়া উচিত। নিজের Skill অনুযায়ী উদ্যোগ নিলে সফলতা পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় ! কোন কাজে বারবার অসফল হলে ,নতুনভাবে কাজ শুরু করার উদ্দ্যমটাও হারিয়ে যায়। সেজন্য যে কোন নতুন কাজে অংশগ্রহণ করার আগে ,হাজার বার ভাবুন, প্রয়োজনে ভালো কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন ।

২.কিভাবে শুরু করবো ?

নতুন Business শুরু করে Business success পেতে হলে, অনেক রকমের Product বেছে নেওয়া কখনোই উচিত নয় । তার বদলে নামি কোম্পানির, কম লাভজনক কোন Product নিয়ে বিজনেস শুরু করলে Business Growth ধীরে ধীরে হলেও বাড়বে । বেশি লাভের আশাতে বা তাড়াতাড়ি বিজনেস বাড়াবার চক্করে ,অনেকেই নিম্নমানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে ব্যবসা শুরু করে দেয় এবং শুরুতেই ব্যবসার বিশাল ক্ষতি করে বসে । এই বিষয়ে নিজেকে Control কন্ট্রোল করতে হবে ।মনে রাখা উচিত,নিম্নমানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আমাদের বিজনেস কে নিম্নগামী করে আমাদের মনোবলকে নিঃশেষ করে দেয় । নিঃশেষ মনোবল কখনোই কোন Business-এ সাফল্য এনে দিতে পারে না।

৩.টার্গেট ফিক্সড করে এগোতে হবে !

আমরা বিজনেস শুরু করি সফলতা পাবার জন্য। বিফলতার আশাতে নয় ! সেজন্য বিভিন্ন রকম Strategy আমরা আমাদের বিজনেসে প্রয়োগ করি। কিন্তু বেশিরভাগ সময় আমরা জানিই না, এই স্ট্রাটেজি Fail করলে আমাদের বিজনেসের অবস্থা কি হবে। সেজন্য যে কোন নতুন Strategy অ্যাপ্লাই করার আগে তার ক্ষতিকারক দিকগুলি খুব ভালোভাবে বিচার বিবেচনা করে দেখতে হবে এবং ক্ষতি হলে সেটা সামলে দেবার বিকল্প সমাধানের পথও প্রস্তুত রাখতে হবে।

Business plan হতে হবে ভীষন strong. অন্তত পক্ষে দু তিন বছরের বিজনেস প্ল্যান হাতে নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত এবং সেই প্ল্যানকে বাস্তবায়িত করার জন্য বিজনেস ওনারের কনফিডেন্স লেভেল থাকতে হবে তুঙ্গে। প্রথমে নিজেকে ওই বিজনেসের একজন যোগ্য উত্তরাধিকারী বানাতে হবে ,তারপর বেশ কিছু সমমনোভাবাপন্ন যোগ্য মানুষকে নির্বাচিত করতে হবে, যারা প্রতিষ্ঠানের পারফরম্যান্স কখনোই নিম্নগামী হতে দেবে না । প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য প্রয়োজনে পরিকল্পনাতেও পরিবর্তন আনতে হবে । যখন Business Owner >>Staff >>Customer একই বন্ধনে আবদ্ধ হবে, তখন বিজনেস গ্রোথ হবে অপ্রতিরোধ্য।

Business Success আমাদের উদ্দেশ্য, বিফলতার গল্প আমরা শুনবো না।
Owner>>Staff>>Customer=Business Success

৪.নেটওয়ার্কের বিকল্প কিছু হয় না ।

ব্যবসা বাড়ানো ও Business success-এর ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক শব্দটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় । আমি কিন্তু এখানে Network Marketing বা MLM ব্যবসার কথা বলছি না । ব্যবসায় উন্নতির জন্য নেটওয়ার্কিং এর গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না । এখানে Networking বলতে ,ব্যবসা বাড়ানোর জন্য মানুষের সাথে সুসম্পর্কের শৃঙ্খল তৈরি করার কথা বোঝানো হয়েছে ।সেজন্য ব্যবসায় সাফল্যের জন্য Networking এর গুরুত্ব অপরিসীম বলে

বিশেষজ্ঞদের অভিমত । আমরা যে ব্যবসা করছি ,সেই একই ধরণের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, অন্যদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করা উচিত । এছাড়াও পরিচিত ও অপরিচিত মানুষদের সাথে ভালো ব্যবহার করে যতটা সম্ভব তত বেশি যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে । এর ফলে শুধু ব্যবসায়িক সুবিধাই নয়,ব্যবসা বহিভুর্ত অনেক সুবিধা পাওয়া সম্ভব যা ভবিষ্যতে ব্যবসা কে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে সাহায্য করবে ।

৫.বড় নয় ,সাফল্যের জন্য স্থির করুন ছোট ছোট লক্ষ্য ।

অনেকেই বলে থাকেন , স্বপ্ন সব সময় বড়ই দেখা উচিত । এই কথাটি কিন্তু মোটে অসত্য নয় বরং ভীষণভাবেই এই কথার সত্যতা বা বাস্তবতা আমাদের নজরে পড়ে। কিন্তু এখানে বোঝার বিষয় হল ,আমরা প্রথমেই যদি একটা বড় স্বপ্নকে দেখতে শুরু করি এবং সেটা পূরণ করার জন্য ঝাপিয়ে পড়ি , তাহলে সেই স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে কিন্তু অনেকটা সময় ব্যয় হয়ে যাবে।

ততটা সময় আমাদের হাতে নাও থাকতে পারে ।তার বদলে ,আমরা যদি সেই বড় স্বপ্নকে ছোট ছোট অংশে বিভাজিত করে নিয়ে ,অল্প সময়ে ,অল্প অল্প করে ,কোন স্বপ্ন পূরণ করতে পারি, তাহলে কিন্তু একসময় আমরা অনেক বড় স্বপ্ন পূরণ করে নিতে পারব।Business Success-এর ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনি ,আমরা আমাদের একটা বড় লক্ষ্য অবশ্যই স্থির করব কিন্তু সেই বড় লক্ষ টি বাস্তবায়ন করার জন্য ,আমাদের কিন্তু বড় বড় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়বে। যখন আমরা কোন বিজনেস সবে শুরু করব, তখন কিন্তু বড় লক্ষ্য পূরণ করার মত শক্তি ও সামর্থ্য আমাদের নাও থাকতে পারে !!

সেজন্য আমাদের বড় লক্ষ কে ,প্রথমে ছোট ছোট লক্ষে ভেঙ্গে নিতে হবে ,তারপর নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী ছোট ছোট পদক্ষেপে ,সেই লক্ষ্যকে পূরণ করার জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে। এইভাবে ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণের মাধ্যমে আমাদের বড় টার্গেটও একদিন পূর্ণ হয়ে যাবে। এবং আমাদের ছোট্ট ব্যবসাটি ও ধীরে ধীরে একদিন অনেক বড় আকার ধারণ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।সে জন্য আমাদের উচিত ,আগামী পাঁচ বছর বা আগামী তিন বছরের মধ্যে ব্যবসাটিকে আমরা কোথায় দেখতে চাই ,তা ঠিক করে ফেলা উচিত । এবং এই তিন বছর বা পাঁচ বছরের লক্ষ্যকে ভেঙে ,প্রতিমাসের একটা লক্ষ্য ঠিক করে নিতে হবে । এর মাধ্যমে খুব সহজে আমাদের কাঙ্ক্ষিত বড় লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে সহজ হবে ।

Business Success-এর গোপন সূত্র।

৬.ছোট সাফল্য মোটেও ছোট নয় !!

আমাদের সমাজের বেশ কিছু মানুষ আছেন, যারা কখনোই কোন ছোট জিনিসকে গুরুত্ব দিতে চান না। সেই সব মানুষই আমাদেরকে ছোট ছোট বিষয়কে ছোট করে দেখতে শেখান। ফলে, আমরা অনেক ছোট ছোট বিষয়কে অবজ্ঞার চোখে দেখতে শিখি এবং একদিন সেই অবজ্ঞাই আমাদের জীবনে অনেক বড় ব্যর্থতার গল্প লিখে দেয় ।

সেজন্য জীবনের কোন ছোট ছোট প্রাপ্তি বা সাফল্যকে কখনোই খাটো করে দেখা উচিত না বরং ছোট ছোট সাফল্য পাওয়ার জন্যই আমাদের ছোট ছোট পদক্ষেপ নেওয়া উচিত । জীবনের বা ব্যবসার ছোট ছোট সাফল্যকে গুরুত্ব দিতে হবে। যখন আমরা ছোট সাফল্যকে সাদরে গ্রহণ করতে পারবো, ছোট ছোট সাফল্যে নিজেকে আনন্দিত করতে পারব, অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে পারব ,তখনই আমাদের জীবনে বড় সাফল্য প্রাপ্তির সূচনা ঘটে যাবে। যেটা হবে শুধু সময়ের অপেক্ষা।

কারণ ,পরবর্তীতে সেই ছোট ছোট সাফল্য বড় লক্ষ্যের পিছনে জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে । যদি ছোট ছোট কোন সাফল্যও পাওয়া যায়, সেই সাফল্যের পিছনে বা সাফল্যের সঙ্গে যারা ওতোপ্রতোভাবে জড়িত বা যাদের সামান্যতম ভূমিকাও আছে তাদের কৃতিত্বকে ছোট না করে ,তাদেরকে যদি ছোটখাটো উপহার বা সম্মান দেওয়া যায় সেটাও কিন্তু বিজনেস বাড়ানো বা Business Success-এর ক্ষেত্রে একটা বড় পদক্ষেপ হয়ে থাকবে।

৭.লিখুন, লিখে ফেলুন। দেখুন ম্যাজিক!

বহু মানুষ আছেন যাদের লেখাতে ভীষণ অ্যালার্জি । তারা কোন কিছুই লিখতে ভালবাসেন না। সমস্ত কিছুই রাখেন মাথায় । ফলশ্রুতিতে কি হয় ,যখন বিশেষ প্রয়োজন হয়, তখন তাদের স্মৃতি কিন্তু তাদেরকে সাহায্য তো করেই না উপরন্ত বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেয়। ফলে যা ঘটার তাই ঘটে ,যতটুকু রেজাল্ট তার পাওয়ার কথা ছিল ততটুকু কিন্তু তিনি আর পান না ।সেজন্যে আমাদের যেকোন বিষয় ,যেটা আমরা করতে চাই ,যেটা আমরা ভাবছি সবগুলোই কিন্তু লিখে ফেলতে হবে । ভাবতে হবে ,পরিকল্পনা করতে হবে ,তারপর পদক্ষেপ নিতে হবে, এতেই আসবে Business success.

মাথায় একটি কিছু বিজনেস আইডিয়া চলে আসলো আর ব্যবসাটি শুরু করে দিলাম, এরকম করা কিন্তু কখনই উচিত নয় । এর ফল কিন্তু ভয়ঙ্কর হবার প্রবল সম্ভাবনা থাকে । এর ফলে আপনি ওই ব্যবসায় বা কাজে বিফল হতে পারেন । বিফলতাকে সফলতায় কনভার্ট করার জন্য ,আমাদের উদ্দিষ্ট ব্যবসার জন্য একটি লিখিত বিজনেস প্ল্যান বানাতে হবে। ব্যবসাটি পরিচালিত হবে সেই প্লান অনুযায়ী। তাছাড়া একটা লিখিত বিজনেস প্ল্যান থাকলে পরবর্তীতে সেই ব্যবসাটিকে বড় করতে কিংবা তার শেয়ার বাজারে ছাড়া ও সহজ হবে। লিখিত প্লানের পাওয়ার বা শক্তি ই আলাদা ।

Business Success আমাদের উদ্দেশ্য, বিফলতার গল্প আমরা শুনবো না।
লিখে ফেলতেই হবে, আমাদের প্ল্যান ও টার্গেট

৮.মানুষের কোন্ কোন্ সমস্যার সমাধান করবে ?

আমাদের বিজনেস তখনই বাড়বে ,যখন সেটি ,অন্য কোন মানুষের জন্য, কোন সমস্যার সমাধান সূত্র এনে দেবে । আমাদের সার্ভিস বা প্রোডাক্ট সেই রকমই হতে হবে। যোগ্য মানুষ ছাড়া যেমন Business success. সম্ভব নয় ,তেমনি উন্নত মানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ছাড়াও সাফল্য অসম্ভব। সেজন্য প্রোডাক্ট এর গুনমান বজায় রাখার জন্য যেমন Careful হতে হবে তেমনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত মানুষজনের অ্যাটিটিউড ও উন্নত মানের হতে হবে।

অনেক আগে যখন ব্যবসায় প্রতিযোগিতা কম ছিল তখন যে যে ধরনের ব্যবসা চাইতো ,সেই ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারত এবং সফল হতো কিন্তু বর্তমানে ব্যবসায় এত বেশি প্রতিযোগিতা বেড়েছে যে আপনি চাইলেই সাধারণ একটা ব্যবসা করে সফল হতে পারেন না, আপনাকে গ্রাহকদের সমস্যা খুঁজে বার করতে হবে এবং ব্যবসার মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে ।

বেশ কিছু নামী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী বা মালিকের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ব্যবহারের জন্য অনেক কাস্টমার সেখানে যেতে চায় না । সেটা কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই ভালো লক্ষণ নয়। ভালো কর্মচারী যেমন যে কোন প্রতিষ্ঠানের সম্পদ, তেমনি ঔদ্ধত্যপূর্ণ ব্যবহার বা বাজে ব্যবহার অনেক বড় প্রতিষ্ঠানের ধ্বংসেরও কারণ। সেজন্য ভালো কে মাথায় করে রাখা এবং মন্দকে ঝেড়ে ফেলা উচিত প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে।

৯.কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ।

আপনার ব্যবসায় Customer যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি আপনার অধীনে থাকা মানুষ যেন একই রকম ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করা ,তাদের কাজের প্রশংসা করা, কাজের সহযোগিতা করা ও আমাদের দায়িত্ব । আমাদের মনে রাখতে হবে , আমাদের অধীনস্থ কর্মীরা যদি খুশি মনে প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য প্রাণপণ পরিশ্রম করে ,তাহলে আমাদের ব্যবসা উন্নতি হবে। পাশাপাশি ,তারা যদি বীতশ্রদ্ধ হয়ে, দায় সারা ভাবে কাজ করে, তাহলে কিন্তু আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হবে । আর কোন কর্মী যদি আপনার ক্ষতি চায়, তবে সেই ব্যবসাটিকে সফল করা সত্যিই কঠিন হয়ে যাবে।

১০.কাস্টমারদেরকে ভালবাসুন,সম্মান করুন ,উপহার দিন।

বর্তমান যুগে এবং আধুনিক ব্যবসার কনসেপ্টে কাস্টমার কেয়ার বা গ্রাহক সেবা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। কারণ উন্নত মানের প্রোডাক্ট যেমন ব্যবসার মান ও সম্মান বাড়ায় তেমনি স্যাটিস্ফাইড কাস্টমার ব্যবসার ইনকামের গ্রাফকে চড়চড় করে বাড়িয়ে দেয়। প্রোডাক্টের গুণগত মানের মতো সমান গুরুত্ব বহন করে একজন স্যাটিস্ফাইড কাস্টমার। হাজার হাজার টাকা খরচ করে ,নানা রকম বিজ্ঞাপন চালিয়ে যে income বাড়ানো সম্ভব হচ্ছিল না , একদল স্যাটিসফাইড কাস্টমারের মুখের কথাতে ,এক নিমেষে ওই প্রতিষ্ঠানের ইনকাম কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে ।সেজন্য বলা হয়, একজন সন্তুষ্ট গ্রাহক একটি বড় মাপের বিজ্ঞাপনের চেয়েও বেশি কার্যকর।

Satisfied customer
Satisfied customers are Asset of any successful business

আমরা যেখানে বসবাস করি ,তার চারপাশে অনেক নামিদামি দোকান নিশ্চয়ই আছে ,কিন্তু সব দোকানে কি সমান ভিড় দেখা যায় ? কোথাও আমরা দেখতে পাই বহু মানুষ একটা দোকানে লাইন দিয়ে জিনিস কিনছে ।পাশাপাশি অন্য একটা দোকানের ছবি কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত । সাজানো দোকান ,প্রোডাক্টেরও কমতি নেই, দোকানের কর্মচারীরা প্রস্তুত হয়ে আছে কাস্টমার সার্ভিস দেওয়ার জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় !সেখানে কাস্টমারের আনাগোনা খুব একটা বেশি নয়। কেন এমন হচ্ছে ?এর কারণ হলো, অসন্তুষ্ট গ্রাহক বা আনস্যাটিস্ফাইড কাস্টমার। মানুষ যে দোকানকে পছন্দ করেনা , সেখানে ভিড়ও জমায় না । ভিড় সেখানেই জমে , যেখানে Customer ভালো কোয়ালিটির জিনিস তো পাই ই, সঙ্গে সঙ্গে তারা এক্সট্রা হিসাবে পায় সম্মান , ভালোবাসা ও উপহার । সেজন্যই তারা সেখানে মন খুলে কেনাকাটি করে।

১১. বিজনেস মাইন্ড

একটি বিজনেসকে সাকসেসফুল রান করানোর জন্য প্রয়োজন একটি পারফেক্ট বিজনেস মাইন্ড ।সঙ্গে প্রয়োজন ডিফারেন্ট টাইপস অফ স্কিল, যা বিজনেসকে একটা স্ট্রং সাপোর্ট দেবে । কারণ, একটি সফল বিজনেসের পিছনে থাকে অনেকগুলি প্রচ্ছন্ন কার্যক্রম বা কর্ম প্রণালী । এই সমস্ত কর্ম প্রণালীকে সঠিকভাবে প্রয়োগের জন্য প্রয়োজন Strong Business Mind . অন্যথায় অনেক সফল বিজনেস ও তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে সময় নেবে না । যে বিজনেসের সার্বিক দেখভালের কাজ যত নিখুঁত, সেই প্রতিষ্ঠানের Business success গ্রাফ তত ঊর্ধ্বগামী । সেই জন্য ভালোভাবে বিজনেস চালানোর জন্য প্রয়োজন ভালো মার্কেটিং-এর নলেজ সমৃদ্ধ মানুষজন ।

১২.সফলতার প্রথম সিঁড়ি : ভালোবাসা

যে কোন কাজে অসফল হবার প্রথম ও প্রধান কারণ হলো ,সেই কাজকে মন থেকে ভালো না বাসা । আমরা অনেক সময় অন্যের সাফল্য বা ইনকাম দেখে আগু -পিছু , সাত-পাঁচ না ভেবেই যে কোন বিজনেস শুরু করে দিই , ফল যা হবার সেটাই হয়। কিছুদিন পর ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয় । কারণ কোন কাজের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে খুব বেশিদিন সেই কাজ করা সম্ভবপর হয় না । কোন কাজকে ভালোবেসে করলে, কাজে ,সেই ভালোবাসার ছাপ পড়ে। আশেপাশের মানুষও বুঝতে পারে ।আমি বা আপনি সত্যিই কাজকে মন থেকে ভালবাসি কিনা ?

আপনি যখন কাজটি ভালোবেসে করবেন, তখন মানুষ ও আপনাকে ভালবাসবে। এতে আমাদের Business success আসবে দ্রুত । সেজন্য বিজনেসকে ভালবাসতে না পারলে ,যে কোন লাভজনক ব্যবসা ও বন্ধ হয়ে যেতে পারে । যে কোন কাজকে মন থেকে ভালোবেসে , নিরলস ভাবে যদি আমরা পরিশ্রম করে যেতে পারি ,সেই কাজে সফলতা আসবে । Excitement is the best policy for any success.

১৩.নিজেকে সবসময় আপডেট রাখুন

একটা কথা আছে এগিয়ে চলার নামই জীবন আর থেমে থাকার নামই মরণ অর্থাৎ আমরা যদি আমাদের Business success চাই বা Business-এর সাফল্য ধরে রাখতে চাই, আমাদের প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত বা আপডেট থাকতে হবে। কারণ ,পৃথিবী চলমান এবং পরিবর্তনশীল ।আমরা যদি ,সময়ের সাথে নিজেকে পরিবর্তন করে ,মানিয়ে নিতে না পারি, তাহলে, সময়ের গর্ভে আমরা তলিয়ে যাব ।হারিয়ে যাওয়া বা তলিয়ে যাওয়া মানুষের ইতিহাস মানুষ কখনোই মনে রাখে না !

প্রযুক্তি আমাদের সার্ভিস বা প্রোডাক্টের গন ও মান বাড়াত সাহায্য করে । যে মানুষ স্কিল বা প্রযুক্তি কে আপন করতে পারবে না, সে থাকবে আপনার থেকে অনেক পিছনে । এগিয়ে থাকতে চাইলে আপডেট করুন নিজেকে ।এতে আপনার আর্থিক লাভ যেমন হবে ,তেমনি, মিলবে মানসিক প্রশান্তি !

আপনি যদি নতুন নতুন Skill শিখতে চান এবং আপনার বিজনেসকে AI এর সাহায্যে আরো ডেভলপ করতে চান বা Business Success পেতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন।

১৪.রাতারাতি মুনাফা অর্জনের পিছনে ছুটবেন না

মানুষকে ঠকিয়ে খুব সহজে কিছু টাকা উপার্জন করা খুবই সহজ ।কিন্তু একজন প্রকৃত ব্যবসায়ী কখনোই সফলতার জন্য মন্দ কোন পথকে কখনোই বেছে নেবে না , কেননা এতে ওই ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাবে ! কিভাবে ব্যবসার সুনাম বাড়ানো যায় সেই চেষ্টা করতে হবে ব্যবসার সুনাম বাড়াতে পারলে মুনাফা খুব সহজে হাতে চলে আসবে।

আমরা যদি সৎ পথে, সৎ ভাবে, আমাদের ব্যবসার সঙ্গে জুড়ে থাকি, তাহলে একদিন না একদিন ব্যবসা বাড়ানোর নানা সুযোগ আমাদের সামনে চলে আসবেই। তখন সেই সুযোগকে আমাদের কাজে লাগানোর মতো সক্ষমতা বা পরিকাঠামো থাকতে হবে । এই সুযোগ নানা ধরনের হতে পারে । সেজন্য কি ধরনের সুযোগ আমাদের সামনে আসতে পারে , সে সেরকম বেশ কিছু স্কিল আমাদের অর্জন করে রাখতে হবে বা সেই রকম বেশ স্কিল আছে এরকম বেশ কিছু মানুষকে আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে হবে । তাহলে কোন সুযোগই আমাদের হাতছাড়া হবে না ,মনে রাখতে হবে ,সুযোগ কিন্তু বারবার আসেনা ।সুযোগের সদ্ব্যবহার-ই বিজনেস বৃদ্ধির Business success-এর একটা অন্যতম যাদু দন্ড।

১৫.সেলস্ ও মার্কেটিং : দুটি প্রধান স্তম্ভ

যে কোন Business success.-এর প্রধান স্তম্ভ হল মার্কেটিং । মার্কেটিং হলো নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসকে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ভাবে তুলে ধরা ,যাতে মানুষ সেটি কিনে ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। অর্থাৎ সুকৌশলে কোন প্রোডাক্টের প্রয়োজনীয়তা কে মানুষের মধ্যে ইনজেক্ট করে দেওয়া।

মার্কেটিং এর সবচেয়ে ভাইটাল পার্ট হল Sale. অনেকেই আছেন যারা Sale বিষয়টি বিশেষ পছন্দ করেন না বা ভালোবাসেন না ।আমার অনুরোধ ,দয়া করে আপনি লোভে পড়ে বিজনেস শুরু করবেন না ।আপনি বিজনেস -এ ফেল করবেনই ! কারণ বিজনেসের একটি অবিচ্ছেদ পাঠ হল Sale , সেজন্য বিজনেসে গ্রো করতে হলে ,সেলকে আপনাকে ভালবাসতেই হবে।বিজনেস বাড়াতে হলে মার্কেটিংকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেই হবে । মার্কেটিং হল বিজনেসের Base এবং সেলস হল বিজনেসের Heart . কারণ….

Business success-এর মূল কথা।
Business=Marketing=success=Sales

মার্কেটিং বেশ একটা খরচ সাপেক্ষ বিষয় । সেজন্য অনেক সময় দেখা গেছে ,অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে মার্কেটিং এর খরচ বেশ খানিকটা কমিয়ে দিয়েছে । এর ফলে, দেখা গেছে, এক ধাক্কায় সেলস টার্নওভার কমে গেছে অনেকখানি ! আবার নতুন করে ভাবতে হয়েছে ম্যানেজমেন্ট কে।

তবে উল্টোপাল্টা ভাবে মার্কেটিং করলে Business success বা সফলতা মিলবে না । খুব ভেবেচিন্তে , বিচার বিশ্লেষণ করে তবে এপ্লাই করতে হবে মার্কেটিং ট্রেটিজি । একটা বিষয় আমাদের মনে রাখা উচিত, কাস্টমার তাদের পকেটের টাকা খরচ করবার আগে অনেকবার ভাবে। তারা যেখানে সেখানে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ খরচ করতে চাইবে না ,সেজন্য সঠিক গুণমানের প্রোডাক্টটি আমাদের মার্কেটিং এর বিষয় হতে হবে ,যা কাস্টমারকে ১০০% স্যাটিসফায়েড করবে।

১৬.মার্কেটিং পরিকল্পনায় গুরুত্ব দিতে হবে

মার্কেটিং ছাড়া ব্যবসায় সফলতা অনেকটাই কঠিন , আমাদের অনেক ভালো ভালো পণ্য বা সেবা থাকতেই পারে কিন্তু সেই পণ্য বা সেবার কথা যদি গ্রাহক না -ই জানতে পারে ,তবে কোন লাভই হবে না। মার্কেটিং মানে সবসময় অনেক টাকা খরচ করতেই হবে তা কিন্তু নয় ,আমাদের ব্যবহার ,আমাদের কর্মীদের ব্যবহার, তাদের মুখের ভাষা ও মার্কেটিং এর একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

১৭.সব টাকা একসাথে বিনিয়োগ কখনোই করবেন না !

ব্যবসা শুরু করা এবং ব্যবসা চালানো এক কথা নয় । অনেক সময় অনেক ব্যবসা শুরু করা সহজ ,তবে তা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া মোটেও সহজ বিষয় নয়। এই কঠিন বিষয় কে সহজ করতে চাইলে ,আমাদের হাতে যথেষ্ট টাকা থাকতে হবে । ব্যবসায় যেকোনো সময় ,যে কোন কারনে টাকার দরকার হতে পারে ।সেজন্য আমাদের কাছে যে মূল টাকা থাকবে, সেই মূল টাকা কে তিনটি অংশে বিভক্ত করে ,পরিকল্পনা করে রাখতে হবে।

একটি অংশ দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে। প্রথম অংশটা কোনভাবে নষ্ট হয়ে গেলে, দ্বিতীয় অংশ দ্বিতীয় অংশের টাকা দিয়ে প্রথম ব্যবসার ক্ষতিটাকে সামলাতে হবে । খুব প্রয়োজন না হলে কিন্তু ওই অংশে হাত না দেওয়াই ভালো। তৃতীয় অংশ আমাদের বিজনেসের স্টেফনি। প্রথম অংশ এবং দ্বিতীয় অংশ কোন কারণে নষ্ট হয়ে গেলে, যখন কোন জায়গা থেকে সাহায্য পাওয়ার কোন আশা-ই আর অবশিষ্ট থাকে না, তখন ওই তৃতীয় অংশ আমাদেরকে হেল্প করবে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য।

১৮.নিজের ক্ষমতা থাকলে একাই ব্যবসা করুন

একদম শুরুর দিকে চেষ্টা করবেন আপনার নিজের ব্যবসা নিজেই শুরু করার ।এই সময় কখনোই বিজনেস পার্টনারকে সঙ্গে নেবেন না । আপনি নিজের প্রাণপণ চেষ্টা করে, আপনার ব্যবসাটাকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করুন । অবশ্যই Business success পাবেন।

বিজনেস পার্টনার থাকা ভালো ,তবে সেটা কিছুটা Business success পাওয়ার পর।

একেবারে শুরুতেই ,যদি বিজনেস পার্টনারের সাথে মতের মিল না হয় ,তাহলে ব্যবসাটি শুরুতেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে ।সেজন্য নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে ,নিজের এক্টিভিটিকে কাজে লাগিয়ে, নিজের ব্যবসা নিজে বড় করার চেষ্টা করুন।

প্রতিযোগীরা শত্রু নয়। ব্যবসা করতে নামলে প্রতিযোগিতা থাকবেই, কিন্তু ব্যবসার প্রতিযোগীরা কখনোই আপনার শত্রু নয়। প্রায় প্রতিটি ব্যবসায় প্রতিযোগীদের থেকে কিছু না কিছু শেখা যায়। আপনার ব্যবসার প্রতিযোগিতার খুঁজে বার করতে হবে তাদের সাফল্য ও ব্যর্থতার বিষয়গুলোকেও এনালাইসিস করতে হবে। কি জন্য তাদের এত ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে !তারা কি ধরনের সেবা তাদের গ্রাহকদের দিচ্ছে ! তা জানতে হবে। একই সাথে তাদের দুর্বলতা খুঁজে বের করতে হবে এবং আপনাকে ব্যবসায় তাদের করা ভুলগুলো এড়িয়ে চলতে হবে সহজে Business success পাবার জন্য।

১৯.ঝুঁকি নেওয়ার আগে গভীরতা নির্ণয় করতে হবে

বিজনেসের ক্ষেত্রে ,আমরা একটা কথা সবসময় শুনি,” ব্যবসা করতে হলে ঝুঁকি নিতে হয়” , তার মানে এই না যে, না জেনে শুনে,না বুঝে, গভীর সমুদ্রে লাফ দিতে হবে বা আগুনে হাত দিতে হবে। ঝুঁকি নেওয়ার আগে ,আমরা কি পাবো ? আর কি হারাবার সম্ভাবনা আছে ! তার সঠিক ধারণা নিজে বা কোন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বের করে নিতে হবে। যদি ,পাওয়ার চেয়ে হারানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে ,তবে সেই অবস্থায় ঝুঁকি বেশি না নেওয়াই ভালো।

২০.লোন করা কি খুবই জরুরী ? আরো একবার ভেবে দেখুন !

ব্যবসার জন্য নিজের টাকা না থাকলে, আমরা অনেক সময়ই লোন নিতে বাধ্য হই বা লোন নিয়ে থাকি। লোন নিয়ে বিজনেস বাড়ানোর বা Business success-এর চেষ্টা করি । আসলে ,লোন করা কখনোই ভালো একটা বিষয় নয়। তবে ব্যবসার প্রয়োজনে লোন করা যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে আমরা ওই লোনটা কোথা থেকে নিচ্ছি ?

লোনটা যদি কোন ব্যাংকের মাধ্যমে, খুবই সামান্য সুদে নেওয়া হয় তবে সেটা গ্রহণযোগ্য। কিন্তু সেটা না হয়ে, সেই লোন যদি কোন ব্যক্তির কাছ থেকে বা কোন প্রাইভেট সংস্থার কাছ থেকে চড়া সুদে নেওয়া হয়, তাহলে বিজনেস বাড়ানো তো দূরের কথা, সুদের টাকা গুনতে গুনতেই একদিন মূল ব্যবসাটাই চৌপাট হয়ে যাবে।

সেজন্য, যে কোন লোন নেওয়ার আগে আমাদের বুঝে নিতে হবে, সেই লোন পরিশোধ করার ক্ষমতা আমাদের আছে কিনা !যদি লোনের টাকা পরিশোধ করার মতো ক্ষমতা আমাদের থাকে ,তাহলে লোন নেওয়া যেতেই পারে। তবে আমার মনে হয় , ব্যবসা শুরুর একদম প্রথমদিকে নিজের কাছে যে টাকা গচ্ছিত আছে, সেই সামান্য অর্থ দিয়ে হলেও ব্যবসাটা শুরু করা উচিত। যখন ব্যবসাটা চলতে শুরু করবে, কিছুটা লাভ আসা শুরু করবে ,তখন প্রয়োজন বুঝে লোন করা যেতেই পারে কারণ সেই সময় কিছুটা হলেও মুনাফা হতে শুরু করেছে।

২১.ভালো বই ও ভালো মানুষদের কে বন্ধু বানান

মানুষের জীবনে যেমন উত্থান-পতন আছে, ব্যবসার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই, সেখানেও উত্থান পতন ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা যখন চলার পথে নানা রকম সমস্যা, বাধা -বিঘ্ন প্রভৃতির সম্মুখীন হই,, তখন আমরা দিশাহারা হয়ে পড়ি। তখন আমাদের কে ভীষণভাবে সাহায্য করতে পারে ভালো ভালো বই এবং ভালো মনের মানুষজন ।

ভালো বই এবং ভালো মনের মানুষই আমাদের প্রকৃত বন্ধু
ভালো বই এবং ভালো মনের মানুষই আমাদের প্রকৃত বন্ধু

তাদের কাছ থেকে বিপদের সময় আমরা যে সাহায্য বা সহযোগিতা পাব তা অকল্পনীয়। সত্যি কারের ভালো মানুষদের কাছ থেকে আপনি সবসময় উপকার বা সহযোগিতাযই পাবেন ।তাদের দ্বারা আপনার ক্ষতি তো কোন সময় হবেই না, যেটুকু পাবেন সেটুকু লাভ। আমাদের বিপদের সময় আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে অনেক সময় আমরা হতাশা জনক ব্যবহার পেয়ে থাকি কিন্তু আমাদের যদি কিছু পজিটিভ বন্ধু-বান্ধব থাকে, তাদের পরামর্শে খুব সহজেই আমরা অনেক বিপদ থেকে মুক্ত হতে পারব সহজেই।

সেজন্য ভালো ভালো বই পড়তে হবে ।ভালো মানুষজনের সঙ্গে মেলামেশা করতে হবে।

Leave a Comment