ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন আইকনের নাম। তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন Instagram ও Whats app – এর মতো Effective Social Media platform.তিনিই হলেন Architect Of The Digital Age & world. জন্মসূত্রে তিনি একজন আমেরিকান । তিনি একজন প্রোথিতযশা সমাজসেবী ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা । ১৯৮৪ সালের ১৪ই মে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেনসে তাঁর জন্ম। উচ্চ শিক্ষা Harvard University তে ।এই মানুষটি ২০১০ সালে টাইম ম্যাগাজিনের বিচারে Person Of The year নির্বাচিত হন ।
The Evolution of Mark Zuckerberg: From Harvard Dorm Rooms to Global Influence.// হার্ভার্ট ডর্ম রুম থেকে গ্লোবাল : জুকারবার্গের বিবর্তন।
মার্ক জুকারবার্গ হলেন face book বা Meta platform এর অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং CEO . তিনি ২১ শতক অর্থাৎ 21 সেঞ্চুরির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অন্যতম প্রধান। বিশ্ব বিখ্যাত University হার্ভার্টের ছাত্র হিসাবে ,একেবারে প্রথম দিন থেকে তাঁর Dorm Room-এ কোডিং করা থেকে শুরু করে,বিশ্বের বৃহত্তম Social Media Platform গুলির নেতৃত্ব দেওয়া ,জুকারবার্গের এই Journey টি ছিল ভীষণ আকর্ষণীয় ও বিতর্কিত (Controversial) ।
এই Article-এর প্রতিটি ছত্রে জুকারবার্গের জীবন, প্রযুক্তি, দৃষ্টিভঙ্গি ,সমাজে তাঁর প্রভাব এবং তাঁর নেতৃত্বে Facebook-এর বিবর্তন– তুলে ধরার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই Article – এ তুলে ধরা হয়েছে জুকারবার্গের ছেলেবেলা, পড়াশোনা ,কেরিয়ারের প্রতি অদম্য আগ্রহ ও প্রচেষ্টা ।শুধু তাই নয় ,তাঁর প্রতিষ্ঠিত Social Media Platformকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক ,আইনি জটিলতা এবং সে সমস্ত বাঁধাকে অতিক্রম করে নতুন Digital যুগে, নিজেকে একটা Mile Stone হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার এক বৃহৎ ইতিহাস।
Mark Zuckerberg ও Facebook এই নাম দুটি বর্তমানে সমার্থক। Social Media Platform– Facebook” যার বর্তমান নাম Meta— যেটা তিনি এবং তাঁর কয়েকজন Roommate মিলে হাভার্টের একটা Dorm Room থেকে শুরু করেছিলেন ।
Coding থেকে যে বিন্দুর সৃষ্টি, সেটি কিভাবে একটি মহাসমুদ্র হয়ে উঠল ! একজন ছাত্র কিভাবে বিলিয়নার হয়ে উঠল অল্প সময়ে ,তারই গল্প ,জুকারবার্গের গল্প।
জুকারবার্গের উত্থানের ইতিহাস কিন্তু মোটেই সহজ-সরল ছিল না। তাঁর জীবন, বিশেষ করে কর্ম জীবন কেটেছে সর্বদা উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে, উত্তেজনার সিঁড়ি বেয়ে । তাঁর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বিতর্ক ও নানা রকম অভিযোগ সব সময় তাড়া করে ফিরেছে । এতেও তাকে দমানো যায়নি বরং তিনি হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিরোধ্য। Facebook যেমন তাকে বিতর্ক ও আইনি জটিলতায় জড়িয়েছে, সেই Facebook -ই আবার তাঁকে সম্মানের শীর্ষে আসনে বসিয়েছে। বানিয়েছে রাজাধিরাজ। এইরকম নানা ক্ষেত্রে বিখ্যাত ও প্রতিষ্ঠিত মানুষদের জীবন সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন ।
Facebook -এর নাম আজ আর বিশ্বের কোন মানুষের কাছে অজানা নয় । শুধু তাই নয় ,বর্তমান যুগে Facebook ব্যবহার করেন না , এরকম মানুষ বোধ হয় একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। Facebook আজ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ Part বলা যায় । সেই Facebook -এর সাথে সাথে যে নামটি এক নিঃশ্বাসে উচ্চারিত হয়, তিনি হলেন মার্ক জুকারবার্গ। মার্ক জুকারবার্গের পুরো নাম হলো মার্ক এলিয়ট জুকারবার্গ ( Mark Elliot Zuckerberg) । জুকারবার্গ জন্মসূত্রে একজন আমেরিকান ।পেশাতে ছিলেন একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার । এছাড়াও তিনি ছিলেন একজন আমেরিকান Business man ,Social media giant Face book এর Co-Founder ও সমাজসেবি বা মানবহিতৈষি (Philanthropist).
মার্ক জুকারবার্গের স্কুল জীবন কাটে আর্ডসেলি হাই স্কুলে ।সেখানে তিনি গ্রিক ও ল্যাটিন ভাষাতে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই ছিলেন যথেষ্ট মেধাবী । পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও ছোটবেলা থেকেই তিনি বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন। বিশেষ কারণে তিনি তার স্কুল আর্ডসেলি থেকে “ফিলিপস্ এক্সট্রার একাডেমি”তে এডমিশন নেন। সেখানে তার কৃতিত্বের সম্মান হিসেবে বিজ্ঞান ও ক্লাসিক্যাল শিক্ষায় পুরস্কার লাভ করেন। তিনি অসি ক্রীড়া তে বিশেষ দক্ষ ছিলেন, এজন্য তাকে অসি ক্রিড়া দলের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়েছিল । কলেজে আবৃত্তিকার হিসেবে যথেষ্ট সুনাম ছিল । তাঁর কন্ঠে বিখ্যাত বিখ্যাত মহাকাব্যিক কবিতা আলাদা মর্যাদা পেতো।
কম্পিউটারের বিভিন্ন আনাচ – কানাচে ঘুরতে ঘুরতে, বিভিন্ন রকম Experiment করতে করতে, একসময় সোশ্যাল মিডিয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম Facebook কে জন্ম দেন । তখন তার নাম ছিল The Face book .Com । তারিখটা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি । Harvard University তে পড়বার সময় ,তাঁর Room mates রা এই কাজে তাকে যারা ভীষণভাবে সাহায্য করেছিল ।তারা হলেন তাঁর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন সহপাঠী ….
- এডুয়ার্ডো সাভারিন ( Eduardo Saverin ) ,
- এন্ড্র ম্যাককোলাম (Andrew Mc Collum) ,
- ডাস্টিন মস্কোভিটস্ ( Dustin Moskovitz ) ও
- ক্রিস হিউজ (Chris Hughes )।
এই চার বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে কলেজের ছাত্রদের ভিতর যোগাযোগ রক্ষার একটি মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মটি চালু করেছিলেন। কিন্তু এই প্লাটফর্মটির শক্তিশালী কমিউনিকেশন স্ট্যাটাস থাকায় ,সেটা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস অতিক্রম করে সারা বিশ্বেই জনপ্রিয় হয়ে ছড়িয়ে পড়ে ।২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ২০১২ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন মানুষের মধ্যে পৌঁছে গেছে।
আগে যেটা ফেসবুক নামে পরিচিত ছিল, বর্তমানে সেই নাম পরিবর্তিত হয়ে Meta Platform হয়েছে । এই Meta Platform -এর বর্তমান Executive Chairman , Chief Executive Officer ( CEO ) এবং Controlling Shareholder হলেন জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg ).
প্রসঙ্গত, জুকারবার্গের উচ্চ শিক্ষা-জীবন কেটেছে হাভার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে (Harvard University )
বর্তমানে তিনিই Facebook-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট । একেবারে প্রথমে যখন ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করা হয়,তখন তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল, কলেজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড একটা প্লাটফর্মে Published করা ।মার্ক জুকারবার্গ ও তাঁর সহযোগীরা তখনও বুঝতে পারেননি ,তাদের এই কলেজ কেন্দ্রিক কর্মকাণ্ড একদিন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। খুবই দ্রুত এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টি বিস্তার লাভ করতে থাকে । যেটা ২০১২ সালের মধ্যে ১০০ কোটি মানুষের মধ্যে পৌঁছে যায় ।
মার্ক জুকারবার্গ // পুরো নাম মার্ক এলিয়ট জুকারবার্গ ( Mark Elliot Zuckerberg)
মার্ক জুকারবার্গ ১৯৮৪ সালের ১৪ই মে আমেরিকার রাজধানী নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইনস(White Plains) শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মা ক্যারন জুকারবার্গ পেশাতে ছিলেন একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ (Psychiatrist) । বাবা, এডওয়ার্ড জুকারবার্গ ছিলেন দন্ত চিকিৎসক (Dentist ) । জুকারবার্গেরা ছিলেন চার ভাই বোন ।জুকারবার্গ ,রেন্ডি ,ডোনা এবং এরিয়েল।তাঁর স্ত্রীর নাম প্রিসিলা চ্যান । তাদেরও তিন জন সন্তান ।জুকারবার্গ তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের সঙ্গে মিলিতভাবে বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবার মত কাজে সহযোগিতা করার জন্য Zuckerberg Initiative প্রতিষ্ঠা করেন। স্ত্রী ,প্রিসিলা হলেন Zuckerberg Initiative -এর কো ফাউন্ডার ও Co CEO.
জুকারবার্গের ছেলেবেলা কাটে New York City’র একটি শহরতলী ডবস্ ফেরীতে ।
জুকারবার্গের পরিবার ছিল ইহুদী সম্প্রদায় ভক্ত ।কিন্তু জুকারবার্গ কখনো কোন ধর্মীয় বিধি-নিষেধের গণ্ডিতে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেন নি । সেজন্য নিন্দুকেরা পিছনে তাকে নাস্তিক বলে থাকেন। এ বিষয়ে মার্ক জুকারবার্গ কখনোই সেভাবে প্রতিক্রিয়া দেননি। তিনি সরল ও সোজাসাপটা জীবন যাপনে বিশ্বাসী ছিলেন। জটিল ধর্মীয় জীবনে তিনি কখনোই সেভাবে আকর্ষণ বোধ করেননি। তার পরিবর্তে কম্পিউটার জগতে নিজেকে মনে প্রাণে সঁপে দেন ।
ছেলেবেলা থেকে জুকারবার্গের ছিল কম্পিউটারের প্রতি তীব্র নেশা। তিনি ওই শৈশবেই Computer-এ নিজের দক্ষতা দেখাতে শুরু করেন। যেটা ছিল অভাবনীয় ! তাঁর এই দক্ষতা দেখে, তাঁর বাবা তাকে ১৯৯০ এর দশকে Atari BASIC Programing আর্টারি শিখিয়েছিলেন যা জুকারবার্গকে Softwire Development-এর প্রতি ভীষণভাবে আগ্রহী করে তোলে। এর ফলশ্রুতিতে, মাত্র 12 বছর বয়সে Zuckerberg তাঁর বাবার ডেন্টাল অফিসের জন্য ” Zuck Net”নামে একটি messaging program তৈরি করে দিয়েছিলেন।
জুকারবার্গ আর্ডস্ লে হাই স্কুলে (Ardsley High School) পড়াশোনা করেন ।পড়াশোনাতেও তিনি যথেষ্ট মেধাবী ছিলেন। সেই দক্ষতা তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রেও দেখিয়েছিলেন ।Fencing Team-এর তিনি ছিলেন Captain.
২০০২ সালে তিনি Harvard University তে ভর্তি হন । জুকারবার্গ Computer Science এবং Psychologyতে ( সাইকোলজি // মনোবিজ্ঞানে ) তিনি প্রথম হন। এই Harvard Universityতে পড়াশোনা একদম প্রথম অবস্থাতেই তাঁর মাথায় face book-এর Conceptটি প্রণোদনা লাভ করে ।
Face book-এর জন্ম : বাতাবরণ
২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে Harvard -এর Drom Room থেকে মার্ক জুকারবার্গ ও তাঁর তিনজন Roommate মিলে হাভার্টের শিক্ষার্থীদের জন্য The Face book নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করেন । প্রথম প্রথম সেটি বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও –খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আইভি লীগ বিশ্ববিদ্যালয় (Ivy League University) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রায় সমস্ত নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ছড়িয়ে পড়ে । যা বর্তমানে সারা বিশ্বের আমজনতার মুঠোতে বন্দী।
Facebook সৃষ্টির পিছনে ছিল জুকারবার্গের ডিজিটাল প্লাটফর্মের (Digital Platform) স্বপ্ন। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের information একে অপরের সাথে Share করতে পারবে খুব সহজে এবং এক নিমেষে ।সেজন্য জুকারবার্গ এই ওয়েবসাইট টির interfaceটি,User Friendly করার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন।
Mark Zuckerberg লক্ষ্য করেছিলেন, সেই সময়কার বেশিরভাগ Socian Networking Siteগুলি ছিল খুবই জটিল ।সেই রকমই দুটো Site হলো —-
1. Space
2. Friendster
জটিলতার কারনে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলি সেভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারি নি । সেজন্যে ওদের প্রচার ও প্রসার ও ঘটেনি ।
অপর পক্ষে Facebook চালু হবার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই, কয়েক মাসের মধ্যেই লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করে ও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের আনাচে কানাচে। এটি একটি Social Media Revolution-এ রূপান্তরিত হয় । জায়গা করে নেয় মানুষের মনের ভেতর।
Growth and expansion of Facebook // Facebook-এর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ।
জন্ম লগ্ন থেকেই facebook-এর বৃদ্ধি ও প্রসারের হার ছিল চোখে পড়ার মতো । ফেসবুকের বৃদ্ধিকে উল্কাবৃদ্ধি অর্থাৎ Meteoric Rise বললেও কম বলা হবে ।Facebook-এর growth ছিল অভাবনীয়।কল্পনারও একেবারে বাইরে ।এই websiteটি যদিও তৈরি হয়েছিল শুধুমাত্র Harvard-এর Student-দের কথা ভেবে । কেবলমাত্র University Campus-এর মধ্যে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু এর জনপ্রিয়তা ক্যাম্পাসের গন্ডী ছাড়িয়ে সমগ্র বিশ্বে প্রসারতা লাভ করে, খুবই অল্প সময়ে !
২০০৬ সালে Facebook ফেসবুক একটি Registration system চালু করে । যেখানে ১৩ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কোন মানুষ একটি Valid email Address থাকলেই Siteটি ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। এই নিয়মটি চালু হওয়ার পর ,এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের বৃদ্ধির হার আরো বেড়ে যায় ।২০০৮ এর আগস্ট মাসে ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়।
facebook-এর এই উল্কাসম বৃদ্বির হার কেবল মাত্র ব্যবহারকারীদের Base-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। বিভিন্ন রকমের আকর্ষণীয় ও বৈচিত্র্যময় ফিচারের কৌশলী প্রয়োগের ফলেই — সেটা সম্ভব হয়েছে।
2012 সালে ফেসবুক ০১ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে একটি জনপ্রিয় Photo sharing app–“Instagram” কে অধিকরণ করে। এর ফলে মোবাইলে Social Networking platform-এ প্রচণ্ড ভাবে Facebook ঝড় আছড়ে পড়ে ।
Zuckerberg as a Leader// দূরদর্শী ও সুচতুর জুকারবার্গ
জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত facebook-এর যে বিবর্তন, সেই বিবর্তনের মধ্যমণি হলেন জুকারবার্গ । তিনি নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েই ফেসবুকের জয় কে সুনিশ্চিত করেছেন । পথ দেখিয়েছেন । CEOহিসাবে তিনি তাঁর দূরদৃষ্টি ও দূরদর্শীর নেতৃত্ব ও উদ্ভাবনের যে নিরলস প্রচেষ্টা জারি রেখেছেন– সেজন্য বারে বারে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন, সম্মানিত হয়েছেন।
তিনি Facebook ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য অসংখ্য নতুন নতুন বৈশিষ্ট ও পরিষেবা নিরলস ভাবে দিয়ে চলেছেন ।ফলে ,অন্যান্য প্রতিযোগী সংস্থা ফেসবুক কিংবা তার ব্যবহারকারীদের ধারে কাছেও পৌঁছতে পারছে না ।
জুকারবার্গের মধ্যে যে Leadership Quality বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ,সেটি হল ঝুঁকি ( Risk ) নেবার ক্ষমতা এবং এক ঝটকায় সমস্ত বাঁধা-বিপত্তি সরিয়ে দিয়ে–জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেওয়া ২০১০-এর একেবারে গোড়াতে Mobile Development বিষয়টিকে তাঁর বিশেষ অগ্রাধিকার দেবার সিদ্ধান্তটি ,একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ।ফলে Mobile Platform-এ Facebook-এর অবস্থান বা টিকে থাকা বা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার কৃতিত্ব কিন্তু মার্ক জুকারবার্গেরই ।
একইভাবে Oculus VR অধিগ্রহনের মাধ্যমে Virtual Reality ও Augmented reality Technology নতুন দিগন্ত অন্বেষণে তার দূরদৃষ্টিকেই প্রদর্শন করে।
এতসব সফলতার মধ্যেও তাঁর সমালোচকেরা কিন্তু চুপচাপ বসে নেই ।তারা নানা সময় জুকারবার্গের নানা পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্তের বিষয়ে সমালোচনার আঙুল তুলেছেন। বিশেষ করে Corporate Governance এবং User Privacy বিষয়ে । সমালোচকদের যুক্তি ফেসবুকে Zuckerberg-এর অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা ,যা খুশি তাই করার প্রবণতার দিকে এগোচ্ছে। শুধু তাই নয় ,জবাবদিহির কৌশল এড়িয়ে Facebook-কে তিনি অস্বচ্ছতার দিকে এগিয়ে দিচ্ছেন বলেও সমালোচকদের একাংশের দাবি !
জুকারবার্গের বিরুদ্ধে সবচেয়ে মারাত্মক অভিযোগ হল তিনি নাকি Facebook ব্যবহারকারীদের সুবিধা বা ভালোলাগার বিষয়গুলিকে গুরুত্ব না,Board-কে Company-র Profit-এর দিয়ে দিক গুলিকেই বেশি প্রাধান্য দেবার নির্দেশ দিয়েছেন ।
একইভাবে ২০১৪ সালে,Facebook আরও একটি ধামাকাদার platform অধিগ্রহণ করে। যে Mile Stoneটির নাম What’s app । যার জন্য Facebookকে খরচ করতে হয়েছিল ১৯ বিলিয়ন ডলার ।যা massaging ও Communication কে আরো জনপ্রিয় করেছে । What’s app শুধুমাত্র যে ফেসবুকের Portfolioকে উজ্জ্বল করেছে তাই নয় ,বরং কাছাকাছি থাকা সমস্ত প্রতিযোগীদের বহু দূরে নিক্ষেপ করেছে । এতে করে Facxebook-এর আধিপত্য একটু নয়, বহুগুণ বেড়ে গেছে ।
২০০৭ সালে ,মাত্র 23 বছর বয়সে, তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য, বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ Self made বিলিয়নের হিসাবে সম্মানিত হন, বলা যায় নিজেকে প্রমান করেন ও প্রতিষ্ঠিত করেন । এর পর আরো দ্রুত গতিতে নিজের জনপ্রিয়তা ও সম্পদ ক্রমাগত বাড়তে থাকে । ২০২০ সালে জুকারবার্গের সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৯.৭ বিলিয়ন ডলার যা তাকে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। ২০২৪ সালের February পয্রপর্যন্ত তাঁর সম্পত্তির পরিমান দাঁড়ায় 139 বিলিয়ন ডলার । Fobrs-এর সবচেয়ে ধনী কুড়ি ব্যক্তিদের তালিকায় 40 বছরের কম বয়সী তিনি ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি ।
২০১০ সালে বিশ্ববিখ্যাত Time Magazine মার্ক জুকারবার্গকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম একজন হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। এবং” বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব ” পুরস্কারের অংশ হিসাবে বিশ্বের 100 ধনী ব্যক্তিদের মধ্যেও মার্ক জুকারবার্গকে রাখা হয় । ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে Fobrs প্রকাশিত পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় দশম স্থানেও ছিলেন মার্ক জুকারবার্গ।
২০১০ সালে যখন Facebook অর্ধ-বিলিয়ন ( Half a billion) ব্যবহারকারীর Milestone ছুঁয়ে ফেললে ,ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠিতা হিসেবে জুকারবার্গ বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় সাপ্তাহিক টাইমস ম্যাগাজিন এর প্রচ্ছদে স্থান লাভ করে। ওই বছরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিন জুকারবার্গকে “পার্সন অফ দা ইয়ার ” ঘোষণা করেন।
Facebook-এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গকে ওয়েবসাইট তৈরি, ফেসবুকের মালিকানা এবং ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা সম্পর্কিত একাধিক মামলায়, আমেরিকার বিশেষ একটি গোষ্ঠি তাকে জড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেজন্য তাঁকে ফেসবুকে ডেটা ব্যবহারের নিয়ম কানুন, খুঁটিনাটি বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের সামনে হাজির হয়ে বিষয় সম্পর্কে জানাতে হয়েছিল।
Impact On society //সমাজের উপর face book-এর প্রভাব ।
Facebook- এর প্রভাব প্রযুক্তি রাজ্যের বাইরে ও ক্রমবর্ধন। এটি মৌলিক ভাবে, মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের ,তথ্য আদান-প্রদানের প্রথাগত পদ্ধতিতে আমূল বদলে দিয়েছে। মানুষ আপন করে নিয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটিকে । ২০২২ সাল পর্যন্ত ফেসবুকের Active User-এর সংখ্যা ছিল 2.8 বিলিয়ন ।২০২৪ -এ সেটা যে কোথায় পৌঁছে গেছে ,সেটা অবিশ্বাস্য ! ফেসবুক সারা বিশ্বের মানুষের জীবনে এক সর্বব্যাপী অপরিহার্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে। যার জন্য অবশ্য জুকারবার্গকে নিরলস পরিশ্রম করে যেতে হচ্ছে।
Facebook-এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব গুলির মধ্যে অন্যতম হলো ,Public Discourse ও Political Engagement . এই Platform তথ্য আদান-প্রদান, চিন্তা ভাবনার, প্রসারতাকে সহজতর করেছে । যা আগে মানুষ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারতো না । মানুযের প্রতি মানুযের সম্মান ,সম্প্রদায়ের রীতি-নীতি ও আচার ব্যবহারের আত্মীকরণ , সামাজিক বিভিন্ন কু-প্রথার কু-ফল ,বা সামাজিক গঠনমূলক আন্দোলন কে খুব সহজে, দ্রুত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেবার এক অমোঘ ক্ষমতার উৎস হল এই Facebook.
তবে সমাজের আর পাঁচটি বিষয়ের মত, এটিও যে সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত নয় — এ কথা অতি বড় সমর্থক ও স্বীকার করবে। যেমন — অনেক সময়ই আমরা অনেক খবর দেখি যেগুলি Fake বা ভুয়ো ।Base Less অনেক তথ্য-ই অনায়াসে এই প্লাটফর্মে জায়গা পেয়ে যায়।
এছাড়া বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংস্থা– এই platformকে ব্যবহার করে Social Polarization কে বাড়িয়ে তুলছে ।গণতান্ত্রিক বিভিন্ন নিয়মের অসম্মান বা অবমাননা — এর মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ।
এই সমস্ত নিয়ে সুস্থ ও চিন্তাশীল মানুষজন খুবই আতঙ্কিত ও আশঙ্কিত হয়ে পড়ছেন । উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বুদ্ধিজীবী মহল ও সশীল সমাজ । Facebook Algorithm” যা মানুষকে ফেসবুকে ব্যস্ত রাখতে বাধ্য করে, সে বিষয়েও মানুষকে সচেতন ভাবে বেরিয়ে আসার বার্তা দিচ্ছেন জ্ঞানী-গুনী মহল । তাদের মতে , ফেসবুকের লাগামহীন উদ্দামতা,সহজে income-এর লোলুপতা ,যৌন সুড়সুড়িমূলক আদিমতা ক্রমশ নতূন প্রজন্মকে অকর্মন্য,অলস ও যান্ত্রিক বানাচ্ছে । হারিয়ে যাচ্ছে আন্তরিকতা ,ভালোবাসা,শ্রদ্ধা-ভক্তি । তার বদলে জায়গা করে নিচ্ছে উগ্রতা ,সম্পর্কে জটিলতা ইত্যাদি ইত্যাদি ।
এসব থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা কিন্তু মার্ক জুকারবার্গ মানুষকে দিচ্ছেন না–এটাই একাংশের অভিযোগ ।
Controversies and Challenge // বিতর্ক এবং আরো বিতর্ক !!
Facebook-এর জনপ্রিয়তা যে গগনচুম্বী সেটা এখন আর অস্বীকার করার জায়গা নেই। এত ব্যাপক জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও তার অস্তিত্ব ও চলার পথে বাধা ,বিতর্ক ও আঘাত নেমে আসছে ।এমন অভিযোগ আসছে — যেখানে বলা হচ্ছে , User-এর গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হচ্ছে , User Data অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে । ফলে Facebook নানারকম আইনের লড়াই ও তদন্তের জালে জড়িয়ে পড়ছে।
Facebook-কে জড়িয়ে ফেলার জন্য ,সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিতর্ক গুলির মধ্যে একটি হলো কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারী (Cambridge Analytica Scandal ) যেটা ২০১৮ সালের প্রকাশ্যে এসেছিল ।সেখানে বলা হয়েছিল ,একটি political Consulting Agency ,যার নাম Cambridge Analytica — তাদের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের জন্য, সম্মতি ছাড়াই লক্ষ লক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত Data ভুল-ভাল ভাবে ব্যবহার করেছে।
এই কেলেঙ্কারি টি প্রকাশ্যেএলে বিশ্ব জুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ।এবং Facebook ব্যবহারকারীরা ,ওই সংস্থার কাছে দাবি জানান,যাতে তাদের Data সুরক্ষিত থাকে।
গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে Facebook সম্পর্কে মানুষের মনে যথেষ্ট সন্দেহ ইতিমধ্যে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। এছাড়া ফেসবুকের মাধ্যমে যে ভুল তথ্য সম্প্রচারিত হয় এবং ক্ষতিকারক বিষয়বস্তু অনায়াসে প্রকাশ্যে চলে আসে — এ নিয়েও Facebook যথেষ্ট সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে।
Platformটির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে , ঘৃণাত্মক বক্তব্য প্রচারের, চরমপন্থী মতাদর্শ প্রকাশের এবং তা ছড়িয়ে দেবার । সাধারণ মানুষের স্বার্থে — face book ও ওই ধরনের অন্যান্য Social Media Platform গুলির কাছে বুদ্ধিজীবি মহলের আবেদন ,উক্ত কোম্পানিগুলি যেন তাদের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন।
Future Of Face book And Zuckerberg //ফেসবুক ও
জুকারবার্গের ভুত-ভবিষ্যৎ
Facebook যেহেতু Technology ও সমাজের নিরন্তর পরিবর্তনের মাইল ফলক সৃষ্টি করে চলেছে — সেজন্য জুকারবার্গের ভবিষ্যৎ ও সেই আবর্তেই মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে । বিভিন্ন ধরনের আইনি জটিলতা ও সুশীল সমাজের ক্রমবর্ধমান চাপ সত্ত্বেও জুকারবার্গ এখনো ফেসবুকের CEO পদেই রয়েছেন।পদ ছাড়ার সে রকম কোন ঈঙ্গিত এখনো মেলেনি । বরং মার্ক জুকারবার্গ কোন সমালোচনাতেই কান না দিয়ে, ফেসবুকের আরো উন্নত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য রূপরেখা তৈরি করেছেন বলেই ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি ।
নতুন রুপরেখার মধ্যে রয়েছে —
- 1. Including further integration of massaging platforms.
- 2. Expansion into e-commerce and Digital payments
- 3. The development of virtual and augmented reality experiences.
তবে, এই সমস্ত রূপরেখাকে বাস্তবায়িত করতে হলে ,জুকারবার্গকে face book সম্পর্কে মানুষের মনে যে আশঙ্ককার সৃষ্টি হয়েছে ,সেটা প্রথমে দূর করতে হবে ।না হলে কাজটি অনেক কঠিন হয়ে যাবে ।
Target towards future// ভবিষ্যতের দিকে পদক্ষেপ
মার্ক জুকারবার্গ প্রযুক্তির সাহায্যে Harvard dorm room থেকে বিশ্বব্যাপী Facebook বা Meta যাই বলুন না কেন, সেই সাম্রাজ্যের প্রবল বিস্তার করেছেন বা স্বপ্নের উড়ান শুরু করেছিলেন আজ সেটা ডানা মেলে সাফল্যের উচ্চ শিখরে । বর্তমান সময়ে যেন সেই গতি আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। সারা বিশ্ব উপভোগ করছে ফেসবুকের ডিজিটাল রিলাক্সেশন ।যার কৃতিত্ব মূলত মার্ক জুকারবার্গের ।সফলতার অংশীদার যদি তিনি বেশি হন ,ব্যর্থতা বা জটিলতার দায়ভারও তাকেই মাথা পেতে নিতে হবে ।
সফলতার পাশাপাশি আরও একটি জটিলতা ইতি-উতি মাথা চাড়া দিচ্ছে ,সেটা হল –উত্তরাধিকারের বিতর্ক। অন্যান্য আর পাঁচটা কোম্পানির মতো ,বিতর্ক বা জটিলতাও business-এরই একটা অংশ, যেটাকে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়।সে যাই হোক না কেন ,ফেসবুক যেহেতু Digital Landscape কে আরও বিকশিত ও সুসজ্জিত আকার দিতে চলেছে ,সেই বিশাল কর্মকান্ডের পুরোধা হিসাবে জুকারবার্গ নিশ্চয়ই কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন, আর হয়ে উঠবেন বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের বেতাজ বাদশা।