2024-এ Zero থেকে Hero হয়ে যান ।সহজে Business হবে Profitable.

Zero to Hero হবার রণকৌশল

Business-এ সফলতা কিন্তু সকলেই চায় । কিন্তু আমরা এটা ভুলে যাই পৃথিবীর যত বড় বড় বা সফল ব্যবসার কথা আমরা শুনি, সেগুলো কিন্তু হঠাৎ করে বা একদিনেই সেখানে পৌঁছতে পারেনি। তাদের পিছনে অবশ্যই কোন সিক্রেট স্ট্র্যাটেজি কাজ করেছে। Zero to Hero হবার রণকৌশল একদিনে কেউ রক্ত করতে পারেনি বা পারবেও না। এটা তারাও সম্ভব নয়।

Zero To Hero : success
Zero To Hero : success

যেমন ১৯৯৮ সালে Elon musk , Peter Thiel ও আরো কয়েকজন মিলে Pay pal নামক একটি আর্থিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। শুরু হয়েছিল একেবারে শূন্য থেকে। শূন্য থেকে কিভাবে চরম সফলতা অর্জন করা যায় সেটা Pay pal -এর ইতিহাস ঘাটলেই বোঝা যায়। এই সফলতার গোপন রহস্য কিন্তু Peter Thiel নিজের মধ্যে গোপন রাখেন নি । শেয়ার করেছেন সর্বসাধারণের সাথেও । যাতে যে কেউ সেই ফর্মুলা ফলো করে সফলতা অর্জন করতে পারে। এই বিষয়ে আরো জানার জন্য এখানে ক্লিক করতে পারেন।

Pay pal-এর সফলতার মন্ত্র লুকিয়ে আছে ZERO TO ONE এই ফর্মুলার গভীরে । এই ফর্মুলা ব্যবহার করে বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানি আজকে বিজনেস ওয়ার্ল্ডে নিজের জায়গা করে নিয়েছে।

একবার আমেরিকার Stanford University তে লেকচার দেবার আমন্ত্রণ পান Peter Thiel . তিনি সেখানে উপস্থিত হন এবং সেখানে তিনি একটি বিজনেস কিভাবে একেবারে ছোট্ট থেকে বিলিয়নার কোম্পানিতে পরিণত হতে পারে — সে বিষয়ে একটি যুগান্তকারী বক্তব্য রাখেন। যেখানে তিনি বেশ কিছু Laws , Rules বা Principle-এর উল্লেখ করেছিলেন।

Blake Master নামের একজন students , Peter Thiel-এর দেওয়া rules গুলি নিজের বিজনেসে প্রয়োগ করলেন। অবাক বিস্ময়ে সারা বিশ্ব Peter Thiel এর rules এর জয়জয়কার দেখল। এই সফলতা দেখে বিশ্বের আরো কিছু বিজনেসম্যান নিজেদের বিজনেসে সেই Laws গুলিকে apply করলেন এবং সফলতাও পেলেন। এতে Peter Thiel এবং তার ফর্মুলা ” ZERO TO ONE ” সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা পেল।

পরবর্তীকালে Peter Thiel- ও Blake Master দুজনে মিলে ,এই formulaকে আরো সমৃদ্ধ করে ” ZERO TO ONE ” নামে একটি বইও প্রকাশ করে ফেললেন।

এই বইয়ে পিটার থিয়েল — খুবই সুন্দরভাবে বিজনেসের সফলতার Step গুলি বর্ণনা করেছেন। যে ফর্মুলা ব্যবহার করে ইতিমধ্যে বিশ্বের বহু বিজনেসম্যান সফলতা পেয়েছেন। ফলে Peter Thiel-এর আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে যায় । তিনি আরও বেশি মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে থাকেন এই ফর্মুলা গুলো ব্যবহারের জন্য। এই ফর্মুলা গুলো শুধুমাত্র যে বিজনেসের সফলতা এনে দিয়েছে তাই নয়– এই গোল্ডেন ফর্মুলা কে জীবনের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করে দুর্দান্ত ফলাফল পাওয়া গেছে।

Zero To Hero // উত্তরণের নব দিগন্ত
Zero To Hero // উত্তরণের নব দিগন্ত

চলুন: ZERO থেকে ONE-এ যাওয়া যাক !

ফর্মুলার একদম প্রথমে রয়েছে জিরো থেকে ওয়ানে পৌঁছবার গোপন তথ্য । আসুন বিষয়টি বুঝে নেওয়া যাক । ধরা যাক ,আমরা এক সময় চাষের কাজে বলদ গরু ব্যবহার করতে দেখেছি। কিন্তু দেখা গেল, ওই অঞ্চলেরই কোন মানুষ , তার চাষের কাজকে আরো দ্রুত ও বেশি পরিমাণে করার জন্য , মোষের ব্যবহার শুরু করলো। এটা হল ONE থেকে N-এ উত্তরণ অর্থাৎ প্রথাগত ব্যবস্থাই থাকল, তবে – সামান্য একটু উন্নতি ঘটলো। বিশাল কিছু পরিবর্তন তেমন একটা হলো না।

কিন্তু চাষের কাজে যদি গরুর বদলে একেবারে ট্র্যাক্টর এনে দেওয়া হতো ? তাহলে কিন্তু যুগান্তকারী ডেভেলপমেন্ট ঘটতো । এটাকে বলা হবে ” ZERO TO ONE ” এ পৌঁছে যাওয়া অর্থাৎ একেই পিটার থিয়েল বলেছেন ” ZERO TO ONE ” .

Peter Thiel বলেছেন, যদি আমরা আমাদের জীবন বা বিজনেসে ইউনিক সাকসেস অর্জন করতে চাই ,তাহলে অবশ্যই আমাদের জিরো থেকে ওয়ান এ পৌঁছাতে হবে। এই ধরনের ডেভেলপমেন্টের অপর একটি নাম হলো Vertical Progress । এর অর্থ হল , আমাদের জীবনে বা বিজনেসে এমন কিছু কর্মকাণ্ড বা কার্যকলাপ ঘটাতে হবে যা আগে কখনো ঘটে নি । একেবারে নতুন বা Unique. বিজনেস এ সফলতা পাওয়ার জন্য এই আর্টিকেল টিও করতে পড়তে পারেন

এ বিষয়ে একটি জিনিস লক্ষ্য করা যায় , সেটা হল–অনেকেই আছেন যারা প্রচলিত কোন পদ্ধতির সাথে সামান্য কিছু নিয়মকানুন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করে । এতোটুকু বা এই সামান্য পরিবর্তন করলে বিজনেস কিন্তু ইউনিক হবে না। এতে সফলতার হার সামান্য বাড়লেও ,দীর্ঘস্থায়ী বা বিশাল বড় তেমন কোন সাফল্য কিন্তু পাওয়া যাবে না। যে রকমটা Google ,Apple ,Microsoft, Starlink , Amazon , flipkart পেয়েছে।

এই যে প্রচলিত পদ্ধতির সামান্য পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করে পুনরায় একই ফর্মুলাকে প্রয়োগ করাকে বলা হয় Horizontal Progress।

এই পদ্ধতিতে সফলতার গ্রাফ তেমন একটা ঊর্ধ্বমুখী নয়। বরং বলা যায় এতে সফলতার গতি মৃদু বা মন্থর। অর্থাৎ সামান্য বেশি মাত্র । উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু নয় ।অর্থাৎ Copy করে বিশাল কিছু করা সম্ভব নয়, করতে হবে নতুন কিছু ।যা একেবারে নতুন বা Unique।

Peter Thiel নতুন মানুষদের কাছে এটাই বার্তা দিতে চেয়েছেন, বিজনেস ওয়ার্ল্ডে এগিয়ে থাকতে চাইলে বা লিড করতে চাইলে নতুন কিছু করতেই হবে।

সেজন্য Peter Thiel বলেছেন ,যদি কিছুটা সফলতা চান ,Copy করুন।

সামান্য কিছু রদবদল ঘটান।

আর যদি মাইলস্টোন হতে চান ! ইউনিক কিছু করুন । একেবারে আমূল পরিবর্তিত Idea Implement করুন অর্থাৎ ZERO থেকে ONE এ চলুন।

পৃথিবী বিখ্যাত Business Tycoonরা সকলেই জিরো থেকে ওয়ানে গিয়েছেন। আপনাকেও সেই পথেই চলতে হবে। শুরু করতে হবে ZERO থেকেই । আর এতে সফলতার সম্ভাবনা বেশি। মুনাফার পরিমানও যথেষ্ট বেশি।

আর একটা কথা আমাদের বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, সেটা হলো — আমরা যে ব্যবসা-ই করি না কেন ,সেটা যেন কোন মানুষের পেইনের Pain-এর গুরুত্বপূর্ণ কোন Solution অবশ্যই দেয়।

Value Creation // create Generation
Value Creation // create Generation

Put Value :Create Generation

একটি সফল বিজনেস গড়ে তোলার জন্য যতগুলোই মৌলিক উপাদান চিরাচরিত যুগ থেকে প্রচলিত আছে ,সেগুলির মধ্যে অন্যতম হলো ভ্যালু ক্রিয়েশন। Peter Thiel এই ফর্মুলাকে অস্বীকার তো করেন নি বরং বেশ জোর দিয়েছেন।, বলেছেন- পৃথিবীতে সেই ব্যবসাগুলোই বেশি সফলতা লাভ করে যারা মানুষের ভাইটাল কোন পেইনের সলিউশন নিয়ে উপস্থিত হয়। বা সমস্যার সহজ কোনো সমাধান সূত্র স্বল্প মূল্যে হাজির করে। এটাই হলProper Value Creation অর্থাৎ গ্রাহক বা কাস্টমারের জন্য প্রপার ভ্যালু ক্রিয়েট করা-ই একটি সফল Business Concern-এর মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

Customer বা গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে Uniqueness বজায় রাখতে হবে। যা অন্যদের থেকে আমাদেরকে আলাদা করবে সহজেই।

একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। যেমন–প্রথাগত Banking System-এ টাকা পেতে বা টাকা পাঠাতে মানুষের বেশ কিছুটা সময় লেগে যেত ,কিন্তু Pay Pal খুব স্বল্প সময়ে , নিরাপদে মানুষের টাকা পেতে ও পাঠাতে সাহায্য করছে। এক্ষেত্রে Pay Pal খুব অল্প সময়ে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় হয়েছে।

অপরদিকে Google বা Facebook ও এক-ই Unique Formula apply করে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করছে ।

Peter Thiel আরো মনে করেন মনে করিয়ে দিয়েছেন, শুধুমাত্র ইউনিক আইডিয়া হলেই হবে না ,তার সাথে থাকতে হবে একজন গ্রাহকের আবেগ ও অনুভূতির গুরুত্ব ও সম্মান। অর্থাৎ আমাদের তৈরি প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সাথে যেন গ্রাহকের সত্যি কারের আবেগের সংযোগ থাকে।এটা যদি বজায় রাখা যায় ,তাহলে আমাদের ব্যবসার Profitability বাড়বে।

যে কোনো বিজনেসের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের ভ্যালু মেন্টেন কিন্তু একটা Long Term ও Continuous Process। এটা মেন্টেন করার জন্য চাই–এক্সপার্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, আর proper application. এই সমস্ত অ্যাপ্লিকেশনের জন্য অবশ্যই থাকতে হবে একটা Strong Structure । যেটা সত্যিকারের ইমপ্রুভমেন্ট এনে দেবে।

সঠিক ইমপ্রুভমেন্টের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কাস্টমারের ফিডব্যাক বা মতামত। যেটা যে কোনো কোম্পানির একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এটা থেকেই একটি সংস্থা বুঝতে পারে আসলে মানুষ কি চাইছে বা মানুষ কি ভালোবাসে। এর সঙ্গে যদি হাই টেকনোলজি ইমপ্লিমেন্ট করা যায় ,তাহলে তো সোনায় সোহাগা। এক কথায়, Value creation is the most powerful pillar of any business ।

আর এটা করতে গেলে দরকার একেবারে Grass root লেভেলে গিয়ে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের দোষ ত্রুটি গুলি খুঁজে বার করা । এবং সেই দোষ ত্রুটি দূর করা সঠিক সমাধান সূত্র । এতে একজন কাস্টমার ভীষণ খুশি থাকবে। একজন satisfied customer যে কোনো একটি বড় কোম্পানির Quality Asset বা মূল্যবান সম্পদ।

Competition vrs Competitors
Competition vrs Competitors

প্রতিযোগিতা : প্রতিযোগী

যেকোনো বিজনেসের-ই মূল একটি প্রতিবন্ধকতা হলো কমপিটিশান বা প্রতিযোগিতা। দীর্ঘদিন বিজনেস ওয়ার্ল্ড দখলে রাখতে হলে প্রতিযোগিতাকে Avoid করতে হবে। সেই জন্য Peter Thiel বলেছেন ,প্রতিযোগিতা বিষের মতো কাজ করে। Peter Thiel-এর মতে ক্যাপিটালিজম এবং কম্পিটিশন দুটি পরস্পর বিপরীত মুখী স্রোত । এই বিপরীতমুখী Power দুটির বনিবনা একপ্রকার অসম্ভবই বলা চলে।

capitalism আমাদের ব্যবসাকে বাড়িয়ে বেশি মুনাফা অর্জনে সাহায্য করবে । ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করবে।

অপরদিকে অস্বাস্থ্যকর কম্পিটিশন আমাদের বিজনেসের ক্ষতি করবে ।বাজারে আমাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের যত প্রতিযোগী থাকবে বা বাড়বে আমাদের ব্যবসার ততো ক্ষতি হবে। ফলে কমতে থাকবে মুনাফা বা Profit-এর পরিমাণ ।Total মুনাফাটা বিভিন্ন চ্যানেলে বিভাজিত হয়ে যাবে।

সেজন্য যে কোন বিজনেস ততক্ষণই বেশি মুনাফা অর্জন করবে, যতক্ষণ সে প্রতিযোগী হীন থাকবে। কিন্তু প্রতিযোগী হীন বাজারের কল্পনা অলীক। তবে কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের গুণমান যদি সঠিক থাকে, বিজনেস স্ট্র্যাটেজি যদি স্ট্রং হয, তাহলে — প্রতিযোগীরা যখন বাজারে নিজেদেরকে প্রেজেন্ট করবে–ততদিনে আমাদের কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে অনেক এগিয়ে থাকবে।

সেই এগিয়ে থাকা প্রোডাক্ট বা সার্ভিসকে মানুষের মন থেকে সরিয়ে সেখানে যেকোনো প্রতিযোগী কোম্পানির অনেকটা সময় লাগবে এবং প্রচুর অর্থ ও ব্যয় করতে হবে। তারপরেও কতটা সফলতা পাবে ,-সেটা সময়ই বলবে।

সেজন্য বিজনেস নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন একটি বিজনেস বাছতে হবে, যে বিজনেসের প্রতিযোগী নেই বা থাকলেও খুবই কম।

অপরপক্ষে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এমন হবে-যেটা মানুষের খুবই প্রয়োজনীয়। যদি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এমন হয়, যেটা ছাড়া মানুষ সেভাবে চলতেই পারবেনা। যেমন ইন্টারনেট কানেকশন ।যেটা ছাড়া মানুষের জীবন স্তব্ধ হয়ে যাবে। মানুষ যেটা কিনতে বা নিতে বাধ্য থাকবে। উক্ত কোম্পানিকেই মানুষের মধ্যে সেই গ্রহণযোগ্যতার বীজ বপন করতে হবে।

Customer // Satisfied Customer
Customer // Satisfied Customer

শ্রেণী বিভক্ত কাস্টমার:

যখন আমরা নতুন কোন বিজনেস শুরু করব তখন কাস্টমার হিসেবে সার্বিক মানুষকে টার্গেট করলে হবে না। এক্ষেত্রে একটি ক্ষুদ্র জনসমষ্টির স্বল্প মানুষজনকে টার্গেট করে বিজনেস স্টার্ট করতে হবে। তার বদলে আমরা যদি বেশি লোভ করে, বড় মাপের জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে-বিজনেস শুরু করি-তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

বাংলাতে একটা প্রবাদ আছে, অতি লোভ ভালো নয় বা অতি লোভে তাঁতি নষ্ট।

তার বদলে আমরা যদি কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মাধ্যমে কাস্টমারের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে ,এমন নতুন নিয়ম বা পদ্ধতি চালু করতে পারি , তাহলে যে কোন বিজনেস-ই ZERO থেকে ONE-এ পৌঁছে যাবে।

Business বাড়ানোর পরিকল্পনা অবশ্যই থাকবে, কিন্তু একেবারে শুরুতেই যদি সবকিছু-ছড়িয়ে ফেলি ,তাহলে সেই বিজনেস বড় হওয়া দূরে থাক , একসময় মুখ থুবড়েও পড়তে পারে। সেজন্য বিজনেস বাড়াতে হবে অল্প অল্প করে। নিজের ক্ষমতা বা অবস্থা বুঝে।

বিজনেস বাড়াতে গেলে বা শুরু করতে গেলে , আমাদের বড় একটা স্বপ্ন থাকতেই হবে। কিন্তু ওই বড় স্বপ্ন পূরণের জন্য একেবারে প্রথমেই ঝাপিয়ে পড়লে হবে না। বড় স্বপ্নকে ছোট ছোট স্বপ্নে ভেঙে নিয়ে, একটু একটু করে বাড়াতে হবে। নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন থেকে এগোতে হবে সামনের দিকে।

সামর্থ্যের সাথে যেটা ওতপ্রতভাবে যেটা জড়িয়ে আছে সেটা হলো ক্যাপিটাল বা পুঁজি। যখন বিজনেস একটু একটু বাড়ছে ,তখন পুজিও সামান্য বাড়ানো যেতেই পারে। পদক্ষেপ করতে হবে খুবই সাবধানে ও ধীরে সুস্থে।

যদি না বুঝে, আবেগের বশবর্তী হয়ে ,সার্বিকভাবে বড় আকারে বিজনেস বাড়িয়ে ফেলা হয় তাহলে , Business field-এ টিকে থাকাই ভীষণ মুশকিল হবে।

অনেকে আবার ব্যবসা বড় করার চক্করে, বিজনেসের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের গুণ ওমানের দিকে ততটা নজর দেয় না, ফলে চালু ব্যবসা ও মুখ থুবড়ে পড়ে। মনে রাখতে হবে ব্যবসার ক্ষেত্রে কোয়ালিটির সাথে কম্প্রোমাইজ করলে তার ফল ভালো হয় না। অনেক বড় বড় কোম্পানিকেও এই ভুলের জন্য মাশুল দিতে হয়েছে।

প্রথম বিজনেস নির্বাচনের ক্ষেত্রে মার্কেট রিসার্চ করে বের করতে হবে, এমন একটা বিষয় বা সমস্যা , যেটার সমাধানে তেমন কোন কোম্পানি নেই। থাকলেও সেটা সংখ্যায় খুবই নগণ্য। ফলে এখানে নিঃসন্দেহে প্রতিযোগিতা প্রায় নেই বললেই চলে। প্রায় প্রতিযোগী হীন ফিল্ডে যে কোন বিজনেস-ই বাড়িয়ে তোলা সম্ভব।

Time is king // Time management .
Time is king // Time management .

সময়কে গুরুত্ব দেওয়া শিখতে হবে

জীবনের ক্ষেত্রে যেমন সময়ের ভীষণ গুরুত্ব আছে। তেমনি একটি সফল বিজনেসের ক্ষেত্রেও সময়ের গুরুত্ব কে অস্বীকার করা যাবে না। Peter Thiel জানিয়েছেন সময় এমন একটা ফ্যাক্টর, যেটা একটা নতুন ব্যবসার সফলতা ও বিফলতাকে নির্দেশ করে।Peter Thiel আরো বলেছেন, সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করাটাই, অন্যের থেকে আপনাকে এগিয়ে রাখবে।

সেজন্য একজন সফল বিজনেসম্যান হতে হলে, আমাদের সময় সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।। সময়কে ইগনোর করলে চলবে না।বিশেষ মনোনিবেশ সহকারে সময়কে বিশ্লেষণ করে বুঝে নিতে হবে — আমাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কখন বাজারে লঞ্চ করতে হবে বা লঞ্চ করা উচিত।

কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বাজারে লঞ্চ করার সময় যদি সঠিক না হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে ওই বিজনেসের কপালে অশেষ দুঃখ আছে। যেটা Peter Thiel-এর ভাষায় বিজনেসের খারাপ সময়। এই খারাপ সময়ে উদাহরণ দিতে গিয়েPeter Thiel ওয়েব ভ্যান এর কথা বলেছেন।

Web Van তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন ধরনের গ্রসারী প্রোডাক্ট অনলাইন এর মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য। তারা এই বিজনেস শুরু করার জন্য যথেষ্ট পুঁজি লাগিয়েছিলেন, সেই সাথে প্রচারের বিষয়েও কোন খামতি রাখেনি। তা সত্ত্বেও Web Van-এর Business Conceptটি মুখ থুবড়ে পড়েছিল।

তাদের ব্যর্থতার কারণ হলো ,এদের একটিভিটি ছিল তৎকালীন বাজারের জন্য Pre Mature। অর্থাৎ ওই সময়ের মানুষের জন্য বা মানুষের মধ্যে ওই ধরনের আলট্রা মডার্ন কনসেপ্ট কে একসেপ্ট করার মত মানসিকতা তখনো Grow করেনি।

অর্থাৎ Web Van সঠিক সময়ের অনেক আগেই মার্কেটে ঢুকে পড়েছিল। মানুষ তখনো এই ধরনের পরিষেবা নেবার জন্য প্রস্তুত ছিল না। বলা যেতে পারে ,গ্রসারি প্রোডাক্ট অনলাইনে কেনার জন্য মানুষ তখন প্রিপেয়ার ছিল না। সেই জন্য সঠিক পরিকাঠামো ও ব্যাপক প্রচার সত্ত্বেও–এই কোম্পানি শেষ পর্যন্ত সাকসেস হতে পারেনি।

"ZERO TO HERO "
“ZERO TO HERO “

উল্টো দিকে , সঠিক সময়ে বিজনেস স্টার্ট করে যে সফলতা হাসিল করা সম্ভব, সেটা Peter Thiel তাঁর “ZERO TO HERO “ বইয়ে উল্লেখ করেছেন। এ প্রসঙ্গে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট facebook এর উদাহরণ তিনি দিয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন–কিভাবে একেবারে সঠিক সময়ে facebook সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে এন্ট্রি নিয়েছিল, যেটা মার্ক জুকারবার্গ কে চরম সফলতা এনে দিয়েছে। ২০০৪ সালে,মার্ক জুকারবার্গ যখন ফেসবুক চালু করেছিলেন তখন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় ছিল। বলা যেতে পারে শৈশবে বিচরণ করছিল। তখন বাজারে আধিপত্য বিস্তার করছিল My space ও Friendster এর মত সংস্থাগুলো।

কিন্তু জুকারবার্গ সে পথে না হেঁটে ,প্রথমে তাদের ছোট্ট টার্গেট অডিয়েন্স ছিল কলেজ ক্যাম্পাস ও কলেজ স্টুডেন্টরা। এরপর জুকারবার্গ ধীরে ধীরে তার নেটওয়ার্কিং space কে বাড়াতে থাকেন। যেটা আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে

facebook-এর বাজারে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময়টা ছিল উপযুক্ত বা পারফেক্ট। এছাড়াও ফেসবুক অনলাইনের সাহায্যে সোশ্যাল সংযোগ সাধনের জন্য ,মানুষের প্রয়োজনের সাথে তাল মিলিয়ে উপস্থিত হতে পেরেছিল। শুধু তাই নয়, ইন্টারনেট ও মোবাইলের এক অভিনব যুগলবন্দিও তৈরি হয় জুকারবার্গের উদ্যোগে–যেটা আর কেউই করে উঠতে পারেনি । সেজন্য ফেসবুকের গ্রোথ হয়েছে আকাশচুম্বি।

এতকিছু থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারি– কোন Business-এ চরম সাফল্য পাবার জন্য আমাদের নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতেই হবে।

1. ZERO থেকে ONE-এ পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে । যেটা হলো একটা ভার্টিক্যাল প্রোগ্রেস অর্থাৎunique বা নতুন কিছু ঘটাতে হবে।

2. Value Create করতে হবে। যা গ্রাহকের কোন ভাইটাল পেনের সলিউশন এনে দেবে। যা স্যাটিসফাইড কাস্টমার তৈরি করবে।

3. Competition থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন স্ট্রং বিজনেস স্ট্র্যাটেজি।

4. Fixed করতে হবে টার্গেটেড অডিয়েন্সকে । কেবলমাত্র তাদের সমস্যারই ইউনিক সমাধান থাকবে আমাদের কাছে।

5. সময়কে বুঝে সঠিক বিজনেস লঞ্চ করাতে হবে।।যা Customer-এর actual problem solve করবে।

অর্থাৎ কেবল, কোন একটিমাত্র পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই যে আমরা সফলতা পাব, তা কিন্তু নয়। সেই জন্য আমাদের গ্রহণ করতে হবে একাধিক সঠিক পদক্ষেপ।

সেজন্য বুঝতে হবে

  • market-এর trained
  • মানুষের চাহিদা
  • টেকনোলজিক্যাল এডভান্টেজ
  • দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হতে হবে
  • স্ট্র্যাটিজিক্যাল ডিসিশন নিতে হবে
  • ধৈর্য ও অধ্যাবসা থাকতে হবে
  • পারফেক্ট টাইম এন্ট্রি নিতে হবে।

এই সমস্ত কিছু যদি আমরা সঠিকভাবে সুন্দরভাবে পরিকল্পনা মাফিক প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে সফলতা কিন্তু শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা ।এখানে একটি কথা না বললেই নয়। সেটা হল ,এই কথাগুলো বা এই বিষয়গুলো শুনতে যতটা সহজ ,বাস্তবে এগুলোর প্রয়োগ করে ফল পাওয়া কিন্তু ততটা সহজ নয়। মনে রাখতে হবে বিজনেস এ সফলতা পাওয়া কোন ম্যাজিক বা মিরাক্কেল নয়। এটা একটা সাধনার মত। ধীরে ধীরে একটা গাছকে বড় করে তোলার মতো। সেজন্যে খুব ঠান্ডা মাথায় আমাদের business সম্পর্কে সিদ্ধান্তগুলো নিতে হবে এবং অ্যাপ্লাই করতে হবে।

Follow this :I f you want to know more
Follow this : if you want to know more

এই ধরনের আরো লেখা পাওয়ার জন্য আমার ইউটিউব চ্যানেল Learn Digital Earn Money Chanel টিও visit করতে পারেন।

Leave a Comment