কষ্ট বনাম শ্রীতমা
কষ্ট কখনো কোন মানুষের জীবনে বলে কয়ে আসে না। যখন তখন এসে পড়লেই হল । দিন নেই, রাত নেই, সকাল নেই, সন্ধ্যা নেই। যেন মামা বাড়ির আবদার ।
আমার মেয়ে শ্রীতমা । তখন ওর বয়স মাত্র সাত বছর ।দুপুর বেলা হঠাৎ ই বায়না ধরলো, নারকেল খাবে।ওর আবদার মেনে বেশ কয়েক টুকরো নারকেল শাঁস বাটিতে করে দেওয়া হলো ।ও খাটে বসে,পুতুল খেলতে খেলতে বেশ মজা করে সেই নারকেল টুকরো গুলো খেতে লাগলো ।
বেশ কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ খেয়াল করলাম,
শ্রীতমা নারকেল টুকরো গুলো খুব সুন্দর করে চিবিয়ে রসটুকু খেয়ে নিচ্ছে, আর রসহীন সাদা সাদা অংশ জমিয়ে রাখছে –পুতুল খেলার একটা পাত্রে । যেগুলো দেখতে লাগছে একেবারে কোরানো নারকেলের মতো।যেমনটা নাড়ু বানানোর আগে কোরানো হয় ।
আমি ওই জমিয়ে রাখা কোরানো নারকেলের দিকে তাকিয়ে মেয়ে কে বললাম, বাঃ
ভালোই তো নারকেল কুরিয়েছিস ! !ওগুলো আমাকে দে,ঠাকুমাকে দিয়ে নাড়ু বানিয়ে দেব ।
মেয়ে গাল ফুলিয়ে, ঠোট উল্টে বললো,
না,আমি আমার এই নারকেল কাউকে দেবো না ,
নাড়ু বানানোর জন্য । কষ্ট করে চিবিয়ে চিবিয়ে গুছিয়ে জমিয়ে রাখলাম খেলবো বলে,আর ঊনি নেবে নাড়ু বানানোর জন্য!!
আমি কাউকে দেবো না আমার নারকেল ।অনেক কষ্ট করে, চিবিয়ে চিবিয়ে জমিয়েছি এগুলো । এগুলো সব আমার আর আমার পুতুলের ।
এই ধরনের লেখা আরো পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং সঙ্গে থাকুন ।কিভাবে আপনার সন্তানকে পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলবেন সেটা জানার জন্য এখানে ক্লিক করে বিষয়টি জেনে নিন।