ইকিগাই // Business-এ সাফল্যের 4টি Master Stroke .

আমাদের পড়াশোনার পাঠ মোটামুটি ভাবে শেষ হলে, আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটি এসে পড়ে সেটি হল ,এবার আমরা কি করব ? কোন প্রফেশন বেছে নেব ? কেরিয়ার কেমন হবে ? সফলতা পাবো তো ? ইত্যাদি ইত্যাদি। চলুন দেখা যাক, ইকিগাই কিভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে !

You Must 
Have Success Habits.That will make you a winner in life
You Must Have Success Habits.That will make you a winner in life

ইকিগাই ও আমাদের সফলতা

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন খুব কম সংখ্যক মানুষই মোটামুটি ১৫% তাদের পছন্দমত প্রফেশন খুঁজে পান ও জীবনে সফলতা লাভ করে।

বাকি ৮৫% মানুষ তাদের স্বপ্ন বা ইচ্ছার ধারে কাছেও পৌঁছতে পারে না। বলা যেতে পারে স্বপ্নের অকাল সলিল সমাধি ঘটে।

এই প্রত্যাশী ৮৫% মানুষ বারে বারে উদ্দেশ্যহীন পথে ছুটে চলে ও অসফল হয়।

কেন এমন হয়?

চলুন: ওই পথের খোঁজে বেরিয়ে পড়া যাক……

আমরা আমাদের পড়াশোনা শেষ করে যখন, কর্মসংস্থানের জন্য মানুষের পরামর্শ চাই তখন আমরা সাধারণত চার ধরনের উপদেশ বা পথনির্দেশ পেয়ে থাকি।

1.বেশ কিছু পরামর্শদাতা উপদেশ দেবেন, তোমার যে কাজটা করতে ভালো লাগে, বা যে কাজটা করতে তোমার আনন্দ লাগে–সেইরকম কোন কাজ শুরু করো।

2.কেউ কেউ আবার বলবে, যে কাজটি তুমি ভালো পারো অর্থাৎ যে কাজে তোমার দক্ষতা তুলনামূলকভাবে বেশি অর্থাৎ Skillful–সেটি শুরু কর।

অন্য অনেকেই আবার পরামর্শ দেবে–

3. যে কাজে অর্থ উপার্জনের সুযোগ অনেক বেশি, সেই ধরনের কাজকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

এই ধরনের পরামর্শদানকারীরা অবশ্য সৎপথের উপার্জন বা অসৎ পথে উপার্জন।—সে বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলেন না। তাদের কাছে—যেন কেন প্রকারেন–অর্থ উপার্জন হলেই হলো, পরিণতির কথা এদের চিন্তাতে তেমন একটা পাত্তা পায় না।

সেজন্য আমাদের দেশে ঘুষ নিয়ে চাকরি দেওয়া বা ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া একটা শিল্পের পর্যায়ে চলে গেছে। বর্তমানে একটা সরকার ঘুষ নিয়ে চাকরি বেঁচে দেবার অভিযোগে অভিযুক্ত । যদিও—বিষয়টি এখনো বিচারাধীন ।তবে কিছু একটা যে ঘটেছে সেটা সাধারণ মানুষের কাছে জলের মতো পরিষ্কার।

4.আবার বেশ কিছু মানুষ আছে যারা আপনাকে বেশ কিছু কোর্সের কথা বলবেন–

যেমন-

এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, প্রায় সকলেই কোন একটি বিশেষ কাজকে উদ্দেশ্য করে এগোতে পরামর্শ দিচ্ছেন ।যেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সে রকম সফলতা এনে দিতে পারছে না। ব্যর্থ হচ্ছে বারে বারে।

এর থেকে বাঁচার একটি অব্যর্থ পদ্ধতি হচ্ছে ইকিগাই (IKIGAI)

ইকিগাই (IKIGAI) বিষয়টি যদি কোন মানুষের মস্তিষ্কে একবার সেট হয়ে যায়।তাহলে তার সফলতা কেউ আটকাতে পারবেনা।সে হয়ে উঠবে অপ্রতিরোধ্য ।

চলুন বিষয়টি বুঝে নেওয়া যাক। এখানে আমরা বিস্তারিতভাবে দেখব ইকিগাই কিভাবে কাজ করে।

IKIGAI : সফলতার নতূন দিগন্ত
IKIGAI : সফলতার নতূন দিগন্ত

বইটি লিখেছেন হেক্টর গার্সিয়া ও ফ্রান্সিস মিরালাস

Authors of Ikigai
Authors of Ikigai

জাপানে ওকিনাওয়া ( Okinawa ) নামে একটা আইল্যান্ড আছে। যেখানে ৮০ থেকে ৯০ বছরের মানুষও আনন্দের সঙ্গে কাজকর্ম করেন ও জীবন অতিবাহিত করে। তাদের জীবনে যেন কোন বিরক্তি ছাপ ফেলতে পারেনি। সারা পৃথিবীর সমস্ত সুখী সুন্দর ও ভালো মানুষজন যেন ওখানেই বসবাস করে। তারা প্রতিদিন খুশি মনে নিজের কাজে মন প্রাণ ঢেলে দেয়। কোন কার্পণ্য যেন তাদের জীবন লিপিতেই নেই।

কিভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেন ওরা ?

সিক্রেট হল !!!

তারা ফলো করেন ইকিগাই সূত্র।

আমরাও যদি আমাদের ইকিগাই জেনে নিতে পারি, বুঝে নিতে পারি, তাহলে আমরাও অর্জন করতে পারব

সঠিক ক্যারিয়ার ও সুন্দর সাবলীল আনন্দময় জীবন।

আমরা এখন যে বিষয়টি আলোচনা করতে যাচ্ছি–তার 100% রেজাল্ট পেতে হলে-বিষয়গুলি অবশ্যই খাতায় লিখে ফেলতে হবে । রেখে দিলে চলবে না। কারণ–

যখন কোন বিষয় শুধুমাত্র আমরা আমাদের মাথায় , মনে বা ব্রেনে রাখি ,তখন সেটা বেশ কিছুদিন পরে ভুলে যাবার সম্ভাবনা থাকে ।বলা যেতে পারে আমরা ভুলেই যায় । আমাদের ব্রেন হচ্ছে ইমোশনাল বা আবেগপ্রবণ। Brain=Emotion Based (আবেগপ্রবণ) // Biased Based (পক্ষপাত দুষ্ট)। যখন আমরা আমাদের সমস্যা কে না লিখে ব্রেনে রেখে সমাধান সূত্র খুঁজতে যায় তখন সেটা আরো জটিল আকার ধারণ করে অনেক ডালপালা ছেড়ে অন্যদিকে প্রসারিত হয়। তখন মূল সমাধানের ধারে কাছেও পৌঁছানো সম্ভব হয় না।Emotion Based mind বা Biased Based mind কখনোই সঠিক সমাধান সূত্র দিতে পারে না বা Problem-এর Solution দিতে পারে না ।

লিখলে ইমোশনাল ব্রেন লজিক্যাল হয়ে ওঠে। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা লজিক্যাল হয়ে উঠছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের জীবনের সাফল্য অধরা থেকে যায়।

সেজন্য লিখতেই হবে।

কেমন ভাবে লিখবেন সেটাও এই আর্টিকেলে দেখাবো।

ইকিগাই কি ? ইকিগাই কেমন করেই বা কাজ করে ?

এক কথায় ইকিগাই হল:

চারটি Strong Master Stroke -এর সংমিশ্রণ।

এখন প্রশ্ন হল-চারটি “Strong Master Stroke ” বিষয়গুলি কি কি ?

আমরা যদি এক একটি বিষয়কে এক একটি সার্কেল ধরে নিই তাহলে বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হবে।

প্রথম সার্কেল:

আপনি যা করতে ভালোবাসেন বা পছন্দ করেন//What you love.
আপনি যা করতে ভালোবাসেন বা পছন্দ করেন // What you love.

দ্বিতীয় সার্কেল:

আমরা যে কাজটি ভালোভাবে করতে পারি বা আমরা যে বিষয়ে পারদর্শী বা দক্ষ//You are good at.
আমরা / আপনি যে কাজটি ভালোভাবে করতে পারি বা যে বিষয়ে পারদর্শী বা দক্ষ
You are good at.

তৃতীয় সার্কেল:

যে কাজ থেকে টাকা পয়সা উপার্জন করা সম্ভব//You got paid for.
যে কাজ থেকে টাকা পয়সা উপার্জন করা সম্ভব//You got paid for.

চতুর্থ সার্কেল:

বিশ্বের বা 
আগামী পৃথিবীর 
মানুষের উন্নত জীবন
 যাপনের জন্য 
কাজটি প্রয়োজন হবে।
বিশ্বের বা আগামী পৃথিবীর মানুষের উন্নত জীবনযাপনের জন্য কাজটি প্রয়োজন হবে।

প্রথম ও দ্বিতীয় সার্কেল দুটির যে ইন্টার সেকশন,সেখানে আমরা আমাদের Passion খুঁজে পাবো ।

Passion
Passion

ধরা যাক আপনি গান গাইতে ভালবাসেন এবং যথেষ্ট ভালো গানও করেন তাহলে গান গাওয়াটা আপনার পেশা এখানে এক নম্বর ও দুই নম্বর সার্কেলটি সংমিশ্রণ হল।

 Profession
Profession

যে কাজটি আমি ভালো পারি এবং এখান থেকে আমার উপার্জন হবে অর্থাৎ মানুষ টাকা দিয়ে আমার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসটি কিনবে। এটা হল আমাদের Profession। এখানে দুই নম্বর ও তিন নম্বর হলো

যে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায় এবং যা মানুষের কোন না কোন কাজে লাগে এবং পৃথিবীর পক্ষে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের কাজকে বলে Vocation । যেটা তিন নম্বর এবং ৪ নম্বর সার্কেলের সংমিশ্রণ।

Vocation
Vocation

যে কাজ আমরা করতে ভালোবাসি এবং যার প্রয়োজন দুনিয়াতে আছে এই ধরনের কাজে পয়সা পাওয়া যায় না এই ধরনের কাজকে বলে Mission বা Vision ।

 Mission  বা  Vision
Mission বা Vision

আমরা অনেকেই জীবনে ভালো ক্যারিয়ার বা বিজনেসের সফলতা পাবার জন্য Passion খুঁজে বার করি,যেটা অনেক জ্ঞানী গুণী মানুষ ই সাজেস্ট করে থাকেন।

, কিন্তু এখানে মুশকিল হল- আমরা যা ভালোবাসি অর্থাৎ আমাদের Passion এবং যাতে আমাদের দক্ষতা আছে।–ইকিগাই অনুযায়ী Passion হল তুই ইকিগাই-এর একটি বিচ্ছিন্ন অংশ মাত্র। Passion আমাদেরকে আর্থিকভাবে সফলতার শর্তটি পূরণ করে না।

সেজন্য;

সফলতা পাওয়ার জন্য আমাদের মোট চারটি শর্ত পূরণ করতেই হবে

যেমন—

Passion

Profession

Vocation

Mission বা Vision

সবগুলোই থাকতে হবে কোন একটি কম হলেও সম্পূর্ণতা আসবে না।

ইকিগাই : মন দিয়ে বুঝে নিন
ইকিগাই : মন দিয়ে বুঝে নিন

, আপনি কাজ করতে ভালোবাসেন, সেই কাজে আপনার দক্ষতা আছে অর্থাৎ আপনি প্যাশন থেকে কাজটি করছেন, কিন্তু সেই কাজ থেকে কোনরকম টাকা উপার্জন করা যায় না,-যেহেতু—-এখানে টাকা উপার্জন করা যাচ্ছে না ফলে আমাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। কারণ বেঁচে থাকার জন্য টাকা পয়সা দরকার আছে।

আবার—ধরা যাক,–আপনি কাজটি ভাল পারেন এবং কাজটি করে অর্থ উপার্জন করছেন-তাহলে আপনি প্রফেশনে আছেন।, কিন্তু কাজটি ভালোবাসেন না শুধু মাত্র অর্থের প্রয়োজনে করছেন তাহলে কিন্তু আপনি ওই কাজটি করে বেশি দূরে এগোতে পারবেন না। বা ওই প্রফেশনে একজন সফল উদাহরণ হয়ে উঠতে পারবেন না। বা হয়ে ওঠাও সম্ভব নয়।

দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু এই Profession সেকশনটাতেই আটকে আছে ।এক বুক অপছন্দ নিয়ে দিনের পর দিন কাজ করে চলেছে। সেজন্যে দিন গুজরান হয়তো হচ্ছে কিন্তু সেভাবে সাফল্যের স্বাদ আস্বাদন করতে পারছেন না।

যদি এমন হতো—আপনার মার্কেটিং করতে খুব ভাল লাগছে এবং আপনি এই কাজটিতে ভীষণ Skilled হয়ে উঠলেন। আপনি আপনার আশপাশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাড়াতে ভীষণ সাহায্য করলেন আর সেই কারণে ব্যবসায়ীরা আপনাকে পছন্দ করতে শুরু করলো—, এবং তাদের ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য তারা আপনাকে মোটা অংকের টাকা পেমেন্ট করতে লাগলো। এটাই হল আপনার ইকিগাই। সেটি তৈরি হয়েছে চারটে স্ট্রং সূত্রের সংমিশ্রণে।

সেজন্য আমাদের সকলেরই উচিত এমন একটা কিছু খুঁজে বার করা–যার মাধ্যমে আমরা ইকিগাই-এর চারটি পয়েন্ট কেই সম্মিলিতভাবে প্রয়োগ করতে পারব

অর্থাৎ

Passion, Profession, Vocation, এবং Mission বা Vision খুঁজে পাব।

উদাহরণ হিসেবে আমরা ভারতবর্ষের জনপ্রিয় মোটিভেশনাল স্পিকার সন্দীপ মাহেশ্বরীর কথা উল্লেখ করতে পারি। সন্দীপ মাহেশ্বরী দিশাহীন ও হতাশ যুব সম্প্রদায়কে নতুনভাবে বাঁচার বা ঘুরে দাঁড়াবার কৌশল বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।

Sandeep Maheshwari
Sandeep Maheshwari

তিনি মোটিভেশনাল Speach মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। কারণ সন্দ্বীপ মাহেশ্বরী টেকনিক খুব অল্প সময়ের মধ্যে যুবসমাজের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অর্থাৎ মোটিভেশনাল speach-ই হল সন্দীপ মাহেশ্বরী ইকিগাই।

আমরা যদি আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন সফল মানুষজনের জীবন বিশ্লেষণ করি, তাহলে দেখা যাবে তারা ইকিগাই খুঁজে পেয়েছেন তাদের জীবনে । সেই জন্য তারা সাফল্যের চরম সীমতে পৌঁছতে পেরেছিলেন।

জীবনের সফলতা পেতে হলে আমাদেরও ইকিগাই খুঁজে পেতেই হবে। না হলে আমরা কিছুদিন পরে আমাদের কাজের প্রতি অনীহা বোধ করব। কাজের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলবো। ওই কাজ ভালোবেসে দীর্ঘদিন করে যেতে পারবো না বা দীর্ঘদিন করে যাওয়া সম্ভব হবে না। সেজন্য ইকিগাই-এর চারটি পয়েন্টের সঙ্গবদ্ধ শক্তি আমাদের আয়ত্তে করতেই হবে। যেটা সমস্ত সফল ব্যক্তিই করে থাকেন। এর কোন বিকল্প বা শর্টকাট রাস্তা নেই।

এই চারটি পয়েন্ট-ই সমস্ত এনার্জি ও শক্তির উৎস।

আমরা যদি একবার আমাদের ইকিগাই খুঁজে পেয়ে যায় তাহলে-ওই কাজ করতে আমরা কখনোই ক্লান্ত বা বিরক্ত হব না। লোকে কে কি বলল–তাতে আপনার বা আমার কিছু যাবে আসবে না। কারণ আপনি জেনে গেছেন আপনি আপনার জীবনের বেস্ট অপরচুনিটি খুঁজে পেয়ে গেছেন।

ikigai graphs
Ikigai graphs

তবে একেবারে প্রথমে বা প্রথমবারেই যে আপনি আপনার ইকিগাই খুঁজে পাবেন এমন কিন্তু নাও হতে পারে। বিষয়গুলি ভালোভাবে বুঝতে হবে। অ্যানালিসিস করতে হবে। তারপর ধৈর্য ধরে সেগুলির প্রয়োগ করতে হবে। বিষয়গুলি গুলিয়ে ফেললে চলবে না।

ইকিগাই বিষয়ে আরো জানতে ইকিগাই বইটিও পড়ে নিতে পারেন লিংক দেওয়া হল।

আমরা যদি ইকিগাই-এর একটি লিস্ট তৈরি করি, তাহলে যে বিষয়গুলি পরপর উঠে আসবে সেগুলি হল—

  • 1. আপনি কোন বিষয়ে পারদর্শী ? বা কোন বিষয়ে দক্ষ ? মার্কেটিং, গান-বাজনা, ডান্স, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ইত্যাদি ইত্যাদি।, কে কি বলছে সেদিকে নজর না দিলেও চলবে।
  • 2. কোন্ কাজ করতে আপনার ভালো লাগে বা আপনি কোন কাজ করতে ভালবাসেন ?
  • 3. আপনার ভালো লাগার কাজটি বিশ্বের প্রয়োজন ? বা বিশ্বের মানুষের কোন সমস্যার সমাধান করবে কি ?
  • 4. আপনার প্রডাক্ট বা সার্ভিসটি নেওয়ার জন্য লোকে আপনাকে টাকা দেবে কিনা ?

এই চারটি পয়েন্ট যখন সঙ্গবদ্ধ হবে সেটাই হবে আপনার ইকিগাই বা জীবনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য। যা আপনাকে সফল বানাবে। উপরোক্ত চারটি প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনি জীবনের সফল হবেনই । এবং জীবনে অনেক খুশি ও আনন্দে থাকবেন। কাজের প্রতি আপনার অনীহা কখনোই জন্মাবে না।

বিজনেেসে সফলতা পাওয়ার বিষয়ে আরো জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

আমাদের মনে রাখতে হবে এটি একটি প্রসেস, কোন ম্যাজিক বা মিরাক্কেল নয়। এটা পেতে সময় অবশ্যই লাগবে। এবং এগুলি পাবার জন্য হয়তো জীবনে অনেকবার ফেলও করতে হতে পারে

আরেকবার দেখে নিন: বুঝে নিন ইকিগাই বিষয়টি

এই কাজগুলি নিয়ম মেনে করার জন্য আমাদের কিছু অভ্যাস বা প্র্যাক্টিস করতেই হবে।

এর মধ্যে অন্যতম প্রধান কাজ হলো ,

সারাদিনে 15 মিনিট থেকে 30 মিনিট বিভিন্ন গঠনমূলক বা পজেটিভ বই পড়া। প্রত্যেকটি মানুষের একটা বেসিক নেচার থাকে। যদি আমাদের নেচারে বই পড়ার অভ্যাস না থাকে, তাহলে ধীরে ধীরে সেই অভ্যাসটিও গড়ে তুলতে হবে।

বই পড়ার অভ্যাস করতেই হবে

ইকিগাই কে পুরোপুরি সফলভাবে জীবনে ব্যবহার করতে হলে, আমাদের লেখা অভ্যাস করতেই হবে। আমাদের বিভিন্ন গুণ, যেমন আপনি বা আমি কোন কাজে খুবই পারদর্শী, কোন কাজ আপনি খুবই ভালো পারেন বা যা করতে ভালো লাগে। এগুলি খাতাতে লেখা শুরু করতে হবে।

যেমন —

লিখুন—এই কাজ গুলি আমি ভালো করতে পারি।

1.

2.

3.

4.

5.

এই কাজগুলি করতে আমার ভালো লাগে

1.

2.

3.

4.

5.

যে কাজগুলি বিশ্বের বা মানুষের প্রয়োজন

1.

2.

3.

4.

5.

যা পাবার জন্য মানুষ পয়সা খরচ করতেও দ্বিধা করবে না ।

1.

2.

3.

4.

5.

মনে রাখতে হবে সফলতা একদিনে আসে না। সফলতা পাবার জন্য বা সাফল্য পাবার জন্য আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় স্কিল অর্জন করতেই হবে। স্কিল ছাড়া আমরা জীবনে সফল হতে পারব না। আমাদের মধ্যে যদি বিভিন্ন ধরনের স্কিল আমরা ডেভলপ করতে পারি তাহলে কোন না কোন সময় ,কোন না কোন Skill আমাদের কাজে আসবেই এবং সেটা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে।

আর আমাদের পছন্দের কাজ খুঁজে পাওয়ার জন্য আমাদেরকে তত্ত্বতালাশ করতেই হবে যার পরীক্ষিত মডেল হল ইকিগাই।

এক কথায় ইকিগাই হল, আনন্দের সাথে সুন্দর ভাবে ,সাবলীল সহজ আনন্দময় বা আনন্দের সাথে বেঁচে থাকার জীবন পদ্ধতি। ইকিগাই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ,এই লিংকে ক্লিক করতে পারেন।

চলুন জীবনে সফলতা পাবার জন্য আরেকবার প্রাণপণ চেষ্টা করে দেখি।

Leave a Comment