Investment কি ও কেন ?
প্রথমেই বলে রাখি
Investment ছাড়া ব্যবসা–এই কথাটির মধ্যেই অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। Actually Investment ছাড়া কিছুই হয় না। ব্যবসা তো অনেক পরের জিনিস।
এই বিষয়টিই প্রথমে পরিষ্কার হওয়া উচিত।
আমরা জীবনে যা কিছুই করতে চেষ্টা করি না কেন, সেখানে কিছু না হলেও সময় দিতেই হবে। অর্থাৎ time invest করতেই হবে।
Time এর কি কোন মূল্যই নেই ?
Time কি valueless ?
নিশ্চয়ই নয় !
আমরা সকলেই জানি Time বা সময় খুবই মূল্যবান । সেজন্য টাইম বা সময় spend করার আগে আমাদের হাজারবার ভাবতে হবে। আমরা টাইম ওয়েস্ট করছি না তো ? আমরা কোয়ালিটি টাইম spend করছি তো ?
এটা লাখ টাকার প্রশ্ন !
অর্থাৎ Invest ছাড়া কিছুই হয় না!
ZERO Investment কথাটাই ফেক।
আর টাকা-পয়সা ছাড়া বিজনেসের চিন্তাভাবনা হল অলীক কল্পনা মাত্র। যেকোন বিজনেস শুরু করতে গেলে টাকা পয়সা কম বা বেশি লাগবেই। সেই অর্থে খুব অল্প টাকা ইনভেস্ট করে বিজনেস শুরু করাকেই অনেকে ZERO Investment বলে থাকেন।
এখানে মজার কথা, আমরা যে বিজনেস শুরু করি সেখানে তো আমার টাইম Invest হচ্ছে , সেটাকে যেমন আমরা ধরি না, পাশাপাশি আমি নিজে যে ওই ব্যবসার পিছনে ১০-১২ ঘন্টা সময় দিচ্ছি–, সেটাকেও মূল্যহীন ভাবি। আমার পরিশ্রমের যে একটা মূল্য আছে ‘সেটাও যে আমার বিজনেসে ইনভেস্ট হচ্ছে–সেটা ও অনেক বড় একটা ইনভেস্টমেন্ট। এটা প্রথমে ভালোভাবে মাথায় ঢুকিয়ে নিতে হবে।
তাহলে ZERO Investment বলে কিছুই হয় না ,সেটা জলের মতো পরিষ্কার।
ZERO Investment যখন হয় না , তখন ভাবতে হবে কত কম টাকা পয়সা ইনভেস্ট করে একটা বিজনেস শুরু করা যেতে পারে ।
বিজনেস শুরু করার প্রথম শর্ত হল ,যে কোন নতুন বিজনেস শুরু করতে হবে, যথা সম্ভব কম টাকা-পয়সা ইনভেস্ট করে।
অবশ্য এটা মাথায় রাখতে হবে ,এই ছোট্ট বিজনেসকে কিভাবে একটা বড় বিজনেসে রূপান্তরিত করব।
অল্প টাকাতে বিজনেস শুরুর কথা শুনলে অনেকেই মুচকি হাসবেন। ব্যঙ্গ করে বলবেন ,অল্প টাকায় আবার বিজনেস হয় নাকি ? ওটা তো খেলা হয়ে গেল !
যেখানে একটি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স করতেই লাখ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। কোন কোন বিজনেস কনসালটেন্ট বা বিজনেস কোচ একটা বিজনেস ট্রেনিং দেবার জন্য ২০/৫০ হাজার টাকা চার্জ করে থাকেন, সেখানে অল্প টাকায় বিজনেস হওয়া সম্ভব নয় ! কথাটি একেবারে মিথ্যা তা কিন্তু নয়,—!!!
আমাদের আশপাশের মানুষজন ও আত্মীয়-স্বজনের খোঁজখবর নিলে দেখা যাবে–অনেকেই লাখ লাখ টাকা Invest করে বিজনেস শুরু করেছেন। হাজার হাজার টাকা খরচ করে Business Growing কোর্স কিনেছেন। তারপরেও বিজনেসে সফল হতে পারেননি। নষ্ট হয়েছে বহু টাকা পয়সা। পকেট মোটা হয়েছে বিজনেস কোর্স বিক্রি করা কোন ব্যক্তি বা সংস্থার।
মানুষ বহু আশা নিয়ে ওইসব এক্সপার্ট বা সংস্থার কাছে যায়। রেজাল্ট বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই BIG ZERO ।
তবে বেশ কিছু বিজনেস এক্সপার্ট আছে। যারা মনে করেন–ওই সমস্ত বিজনেস growing, কোন কোর্স না কিনে বা মোটা খরচের কোন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স না করে—সামান্য কিছু টাকা পয়সা ইনভেস্ট করে, কোন একটা বিজনেস Try করা উচিত। আর বেসিক কিছু ইনফরমেশন এর জন্য তো আমাদের হাতের স্মার্টফোনই যথেষ্ট।
বর্তমান সময়টা হল ইনফরমেশনের। যেকোনো বিষয়ের, যে কোন ইনফরমেশন এক নিমেষে আমাদের হাতের মুঠোতে চলে আসবে। Information is available for free. বর্তমান টেকনোলজির যুগের এটাই অ্যাডভান্টেজ। এই অ্যাডভান্টেজ টাকেই কাজে লাগাতে হবে। আমরা যদি গুগল বা ইউটিউব সার্চ করি তাহলে এরকম সফল বহু মানুষের খোঁজ আমরা পেয়ে যাব। যারা ফ্রি ইনফরমেশনকে কাজে লাগিয়ে জীবনে অনেক বড় হয়েছে বা বড় ব্যবসা দাঁড় করিয়েছে।
অন্যের সাকসেসের গল্প শুনেই যে আমাদের ব্যবসা শিখতে হবে, সেটাই কিন্তু নয়। নিজের বিজনেসে, নিজের বিফলতা ও আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দেবে। যারা নিজের বিফলতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, নিজের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে,, নিজেদের বিজনেসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে ,তারা প্রকৃতপক্ষেই ইন্টেলিজেন্ট। তারাই আসল বিজনেসম্যান। তারাই রিয়েল হিরো।
অর্থাৎ একজন প্রকৃত বিজনেসম্যানের লক্ষণ হল–অযথা Health, Time ও Money নষ্ট না করা।
সেজন্য
শরীরকে ঠিক রাখতে হবে,
সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে,
টাকা নষ্ট করা চলবে না,
যথাসম্ভব টাকা বাঁচাতে হবে,
বাঁচানো টাকাই বিপদের দিনে আমাদেরকে সাহায্য করবে। বিজনেসে Ups and Downs আছে এবং থাকবেও। সেজন্য আগে থেকেই প্রস্তুত থাকলে আমাদেরই সুবিধা।
বিজনেস করতে গিয়ে আপনি যখন গাড্ডায় পড়বেন , তখন আপনার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব —সকলেই বলবে,” আমি অনেকবার তোকে এই ব্যবসা করতে বারণ করেছিলাম, আমার কথা শুনে-এই বিজনেস না করলে আজ তোকে এই বিপদে পড়তে হতো না।”
এইসব ডায়লগ দিয়ে– তারা আপনার থেকে দূরত্ব বজায় রাখে রাখবে, সম্পর্ক ছেদ করবে। তখন কাজে আসবে ওই বাঁচিয়ে রাখা টাকা। সেজন্য আমাদের হাতে যত টাকা পুঁজি থাকবে, তার সবটুকুই কোন একটা বিজনেসে Invest করা কখনোই উচিত নয়। ইনভেস্ট করতে হবে তিন ভাগের একভাগ।
আর আপনার যদি কপাল ভালো থাকে, আপনি যদি একবারে সফল হয়ে যান, তবে তো সোনায় সোহাগা। আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের সংখ্যা বেড়ে যাবে চড়চড় করে। সেটা অন্য গল্প। তবে একবারের চেষ্টাতেই যে আপনি বিজনেসে সফলতা পাবেন ,এমনটা নাও হতে পারে। একবারে যে আপনি সফল হবেন না ,সেটা ভেবে নিয়েই আপনাকে বিজনেসে এগোতে হবে বা পা রাখতে হবে।
আমরা যখন কোন একটা বিজনেস শুরু করব, তখন আরেকটি সমস্যা আমাদের সামনে আসবে–সেটা হল ,আমার বা আপনার বিজনেস আরো বাড়িয়ে দেবার জন্য নানারকম মানুষজন বা সংস্থা বিভিন্ন রকম রং-বে-রঙের অফার নিয়ে আসবে। সেগুলির খরচা ও নানারকম। তারা বলবে এতদিনে আপনার বিজনেস ওখানে পৌঁছে দেব। হেনো করব, তেন করব। ইত্যাদি ইত্যাদি।
বিজনেস শুরুর একদম প্রথমে, কখনোই এদের ফাঁদে পা দেবেন না বা টাকা-পয়সাও খরচ করবেন না।মনে রাখবেন, বিজনেস আপনাকে কেউ শেখাতে পারবে না। আর ওইভাবে আপনি শিখতেও পারবেন না।, শিখতে হবে নিজেকেই ,নিজের বিফলতা থেকে ঠেকে। যাকে বলে ঠেকে শেখা।
যার শেখার প্রকৃত ইচ্ছা থাকবে, আমাদের চারপাশে এত কিছু শেখার আছে, চোখ কান খোলা রাখলে শিখে শেষ করা যাবে না।যে শিখতে চাই–সে বাজার করতে গিয়ে নলেজ পাবে, মেলাতে ঘুরতে গিয়ে নলেজ পাবে,, রাস্তাঘাটে নলেজ পাবে, চারদিকে সে দেখতে পাবে নলেজ ও আইডিয়ার ছড়াছড়ি।
এই সমস্ত কিছুই সাবলীল ভাবে হবে, যদি সঠিক বিজনেস Mind set থাকে তবেই। আর যদি Wrong Mind set হয়, তাহলে যেখানে যত টাকা- পয়সাই খরচ করা হোক ,সেটা হবে অপচয়। কাজের কাজ কিছুই হবে না।
সেই জন্য উল্টোপাল্টা জায়গাতে টাকা পয়সা খরচ না করে, নিজের পছন্দমত বিজনেস নির্বাচন করে, খুব অল্প টাকা Invest করে, নতুন বিজনেস শুরু করে টেস্ট করা যেতে পারে। Fail করলে আবার অন্য একটা বিজনেস শুরু করতে হবে, দেখবেন হয়তো তিন নম্বর বিজনেসটা দাঁড়িয়ে গেছে।
এ রকমটা সাধারণতঃ বড় বড় কোম্পানিগুলি করে থাকে। তারাও জানেনা তাদের কোন বিজনেসটা চলবে, আর কোন বিজনেসটা চলবে না ,মুখ থুবে পড়বে। সেজন্য তারা পরপর অনেকগুলো বিজনেস চালু করে। যে বিজনেসটা চলে ,সেটা তারা continue করে , যেটা ভালো চলছে না ,সেটা বন্ধ করে দেয়। উদাহরণ হিসেবে আমরা রিলায়েন্স কোম্পানির কথা উল্লেখ করতে পারি। তাদের
Jio–মোবাইল নেটওয়ার্কিং
Jio Smart-মুদিখানার দ্রব্য সামগ্রী
Reliance Trends-পোশাক পরিচ্ছদ
Reliance Digital ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য-সামগ্রী
‘Reliance Fresh-শাক-সবজী
Reliance Retail-Grocery
এখন অনেকেই বলবেন, ওরা তো বড় কোম্পানি, ওদের মত কি আমরা পারি ! ? একদম ঠিক কথা, আমরা ওদের মত করব না। আমরা করব ওদের পদ্ধতি Follow করে ছোট্ট করে।
সেজন্য আমাদের
Mind Set
Time ও
Money বিষয়ে ভীষণ careful হতে হবে ও বাঁচাতে হবে।
এখন প্রশ্ন হল–আমরা কোন বিজনেস করবো বা কেমন বিজনেস করবো ?
এর আগে বুঝতে হবে আমরা কেন বিজনেস করি ? Why ?
আসলে যে কোন বিজনেস মানুষের কোন না কোন সমস্যার সমাধান বা সল্যুশন প্রোভাইড করে। অর্থাৎ মানুষের জীবনে প্রতিদিন যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেগুলির সমাধান সূত্রের নামই হলো বিজনেস।
যে বিজনেস, মানুষের সমস্যার যত গভীরে প্রবেশ করতে পারবে, সেই বিজনেসের গ্রোথ হবে তত বেশি।, আমরা এসব না বুঝেই, নানা মানুষের কাছে ,বন্ধু-বান্ধবের কাছে বা কোন বিজনেস কনসালটেন্ট -এর কাছে চলে যায়, কোন লাভজনক বিজনেস আইডিয়ার জন্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের কপালে জোটে ভুল-ভাল পরাম র্শ কিংবা তথাকথিত কোন বিজনেস কনসালটেন্ট বা এজেন্সির খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হই আমরা। এরকম অভিজ্ঞতা আমার বা আপনার আশেপাশে খুঁজলেই মিলবে। সেজন্য আমি বলব, টাকা দেবার আগে হাজার বার ভাবুন। একবার টাকা ঠকবাজদের পকেটে চলে গেলে কিন্তু হা-হুতাশ করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।
ঐ সমস্ত ধান্দাবাজ মানুষেরা মুখে ভীষণ মিষ্টি হয়। হাসিমুখে আপনাকে সর্বস্বান্ত করে নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়িয়ে নেবে। আপনি কিছুই করতে পারবেন না। সেজন্য আবারো বলছি,
টাকা দেবার আগে–
সাবধান
সাবধান
সাবধান
এই যে আমরা বিভিন্ন জায়গাতে আইডিয়া খুঁজি–এই পদ্ধতিটিও কিন্তু সঠিক নয়।
তার বদলে ,আমরা যদি আমাদের প্রতিদিনের জীবনের প্রতি লক্ষ্য রাখি, তাহলে দেখতে পাবো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমরা নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি , যেগুলোর সঠিক সমাধান আমরা পাচ্ছি না।–ওই সমস্ত সমস্যার সমাধান সূত্র যদি আমরা খুব সামান্য লাভে মানুষকে দিতে পারি-সেটাই হতে পারে আমাদের বিজনেস। এটা কিন্তু মোটেই কঠিন কোন ব্যাপার নয়। তবে এজন্য অবশ্যই চোখ- কান খোলা রাখতে হবে।
যে সমস্যা আমাদের মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজে বের করে ,তার সমাধান প্রোভাইড করতে হবে, সেই ধরনের বিজনেস শুরু না করাই ভালো বরং আমরা সেই বিজনেসই শুরু করব যে সমস্যাতে আমি বা আমার পরিবার প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। যেমন–
ভালো ইলেকট্রিকের মিস্ত্রি
ভালো কল সারানোর মিস্ত্রি
ভালো এসি ফ্রিজ টেকনিশিয়ান
ওয়াটার পিউরিফায়ার মেকানিক
কম্পিউটার টেকনিশিয়ান
পেস্ট কন্ট্রোল
ইন্টিরিয়ার ডেকোরেশন।ইত্যাদি ইত্যাদি
এছাড়া আরো অনেক বিষয় এখানে যুক্ত হতে পারে। এই বিষয়গুলিতে আমরা পর্যাপ্ত টাকা-পয়সা খরচ করলেও ১০০% সার্ভিস কিন্তু আমরা অনেক সময় পাইনা। আমরা যদি তুলনামূলক কম খরচে উক্ত পরিষেবা গুলি মানুষকে দিয়ে, তাদের মন জয় করে নিতে পারি,–তাহলে নতুন একটি বিজনেস আইডিয়ার জন্ম হতেই পারে।
এখন প্রশ্ন–আমার বিজনেস চলবে তো?
আমি বলছি,, চলবে না। দৌড়োবে।
কেন বলছি এই কথা-?
একটি Information-এ দেখা গেছে–Customer কোন সার্ভিস পাবার জন্য যে টাকা খরচ করে, সেই মূল্যের রিটার্ন কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিন্তু সে পায় না। ফলে, দ্বিতীয়বার আর ওই customer ওই ব্যক্তি বা সংস্থাকে ডাকে না। কিন্তু আমরা যদি কোন সার্ভিসের জন্য যে টাকা চার্জ করব, তার থেকে বেশি কাস্টমারকে রিটার্ন দিতে পারি, তাহলে কিন্তু ওই কাস্টমার আমার রিপিট কাস্টমার হবেই
সেজন্য একদম শুরুতে Service charge বাজারের চাইতে কম রাখতে হবে। সার্ভিস দিতে হবে ২০০%। পার্থক্যটা কাস্টমারের নজরে পড়তে বাধ্য। প্রয়োজনে ফ্রি সার্ভিস দিন। গিফট দিন। অফার দিন।
একেবারে শুরুতে কিন্তু ইনকাম খুব একটা বেশি হবে না। একেবারে শুরুতে অল্প টাকাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। কারণ প্রথমে আমাদের কাস্টমার বাড়াতে হবে।
নতুন কাস্টমার আমাদের কাছে কেন আসবে ?
নতুন কাস্টমার আমাদের কাছে আসবে ফ্রি সার্ভিস বা বেটার সার্ভিস এর আশাতে।
এই দুটি বিষয় Provide করতে পারলে কাস্টমার আপনার।
কিন্তু অনেকেই আমরা প্রথমেই অল্প উপার্জন হলে হতাশ হয়ে পড়ি। ভালো সার্ভিস দিতে ভুলে যায়। এতে ব্যবসার ক্ষতি হয়। এমনকি নতুন ব্যবসা অল্পদিনে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেজন্য অল্প ইনকাম দেখে হতাশ না হয়ে ভবিষ্যতে বড় ইনকামের কথা ভেবে এক্সাইটেড থাকতে হবে। মনে রাখবেন-এক লাফে কখনোই গাছে ওঠা যায় না। এগোতে হবে ধীরে ধীরে। Slow but steady.
অনেকের ধারণা একটা বড় বিজনেস দাঁড় করাতে গেলে, তার একটা বড় ডিপ্লোমা বা ডিগ্রী থাকতেই হবে
আসলে ,Business Development-এর জন্য কোন
Diploma
Degree বা
কোর্সের প্রয়োজনই নেই।
প্রয়োজন যেটা–সেটা হল, খুঁজে নেবার সঠিক mind set. একবার বিজনেস শুরু হলে আস্তে আস্তে সব কিছু ,কায়দা কানুন, কত দামে বিক্রি করবেন, কোথা থেকে কিনবেন, কোথায় কম দামে মালপত্র পাবেন, কাকে বিক্রি করবেন- ইত্যাদি সবকিছুই শিখে যাবেন। শুরু করলে ঠেকে ঠেকে সবকিছু জেনে ও বুঝে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
আর শুরু না করলে আসল সমস্যা কখনোই সামনে আসবে না। বিজনেস শুরু করার পর যে সমস্যাগুলি আসবে, সেগুলোই রিয়েল সমস্যা। একটি একটি করে সমস্যা দেখবেন ,আর আপনি সকল সমস্যার সমাধান করে ফেলবেন নিশ্চিতভাবে। বিজনেস সম্পর্কে আরো জানতে হলে এখানে ক্লিক করুন।
আমরা অনেক সময় ভাবি–কেউ একজন ভগবানের দুত এসে, আমাকে সবকিছু শিখিয়ে দিয়ে যাবে। কোথায় কম দামে মালপত্র পাব, কাদের কাছে বিক্রি করব,, কিভাবে বিক্রি করব, কি কি কাগজপত্র লাগবে, কোথা থেকে কিভাবে লোন পাব–ইত্যাদি ইত্যাদি
আমাদের মনে রাখতে হবে -বিজনেসে এক ইঞ্চি জমিও কেউ কাউকে বিনা যুদ্ধে ছাড়বে না। যুদ্ধ করে, লড়াই করেই সেটা দখল করতে হবে। দেখবেন-যে আপনাকে বিজনেসে সফল হবার পরামর্শ দিচ্ছে সে নিজেই কোন ব্যবসা করেন না । আর যিনি সফলতার সঙ্গে বিজনেস রান করাচ্ছেন–তিনি কখনোই আপনাকে বিজনেসে সাকসেসের টিপস শেয়ার করবেন না।
এটাই বাস্তব এটাই সত্য।
অর্থাৎ যুদ্ধক্ষেত্রে আপনি একা যা কিছু আপনাকেই করতে হবে। তবে চলার পথে বিভিন্ন মানুষের পরামর্শ, উপদেশ বা গাইডলাইন অবশ্যই পাবেন। সেগুলি বুঝে প্রয়োগ করতে পারলে ব্যবসার গতি আনা সম্ভব।